দিল্লি হাইকোর্টে মঞ্জুর কানিমোড়ির জামিনের আবেদন

টু-জি স্পেকট্রাম কাণ্ডে অভিযুক্ত কানিমোড়ির জামিনের আর্জি মঞ্জুর করল দিল্লি হাইকোর্ট। সোমবার দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি ভি কে সালি গত ২০ মে থেকে তিহার জেলে বন্দি করুণানিধি-কন্যার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।

Updated By: Nov 28, 2011, 11:25 AM IST

টু-জি স্পেকট্রাম কাণ্ডে অভিযুক্ত কানিমোড়ির জামিনের আর্জি মঞ্জুর করল দিল্লি হাইকোর্ট। সোমবার দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি ভি কে সালি গত ২০ মে থেকে তিহার জেলে বন্দি করুণানিধি-কন্যার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
ডিএমকে'র রাজ্যসভা সাংসদের পাশাপাশি করুণানিধি পরিবারের মালিকানাধীন কলাইঙ্গার টিভির ম্যানেজিং ডিরেক্টর শরদ কুমার, বলিউডের চিত্রপরিচালক করিম মোরানি, সোয়ান টেলিকমের প্রধান শাহিদ উসমান বালওয়ার তুতো ভাই আসিফ বালওয়া এবং আসিফের ব্যবসায়িক সহযোগী তথা 'কুশেগাঁও ফ্রুটস অ্যান্ড ভেজিটেবল'-এর কর্ণধার রাজীব আগরওয়ালের জামিন আবেদনও মঞ্জুর করেছে দিল্লি হাইকোর্ট।
কানিমোড়ি-সহ এই পাঁচ অভিযুক্তের জামিনের বিরোধিতা করা হয়নি সিবিআই-এর তরফে। অন্য দিকে সিবিআই এর তরফে প্রাক্তন টেলিকম সচিব সিদ্ধার্থ বেহুরার জামিন আবেদনের বিরোধিতা করা হয়েছিল। এদিন বিচারপতি ভি কে সালি টুজি কাণ্ডে অভিযুক্ত প্রাক্তন টেলিকম সচিবের জামিন আবেদন খারিজ করেছেন।
গত ২২ অক্টোবর, টুজি স্পেকট্রাম কাণ্ডে সিবিআই-এর রিপোর্ট মেনে নিয়ে কানিমোড়ি, প্রাক্তন মন্ত্রী এ রাজা সহ ১৪ জন ব্যক্তি ও ৩ টি সংস্থার বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে পাতিয়ালা হাউস কোর্ট। চার্জ গঠন করার পর তাঁরা জামিনের আবেদন করতে পারবেন বলে জানায় আদালত। এরপরই জামিনের আবেদন করেন কানিমোড়ি এবং অন্যরা। কিন্তু ৩ নভেম্বর বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক ও পি সাইনি সেই আবেদন খারিজ করে দেন।

এর পর গত ২৩ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট টুজি কাণ্ডে অভিযুক্ত পাঁচ কর্পোরেট কর্তাকে জামিন দেয়। আদালতে এই পাঁচজনের জামিনের বিরোধিতা করেছিল সিবিআই। কিন্তু বিচারপতি জি এস সিংভি এবং এইচ এল দত্তাকে নিয়ে গঠিত শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ সেই আপত্তি নাকচ করে। পাঁচ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত জামিন মঞ্জুর হয় ইউনিটেক ওয়্যারলেসের প্রধান সঞ্জয় চন্দ্রা, সোয়ান টেলিকমের অন্যতম অংশীদার বিনোদ গোয়েঙ্কা এবং অনিল আম্বানির মালাকানাধীন রিলায়্যান্স টেলিকমের তিন শীর্ষকর্তা গৌতম দোশী, সুরেন্দ্র পিপারা এবং হরি নায়ারের। এর পরই কানিমোড়ি-সহ অন্যান্য স্পেকট্রাম অভিযুক্তদের জামিন পাওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়।
এই নিয়ে স্পেকট্রাম কাণ্ডে অভিযুক্ত ১৪ জন ব্যক্তির মধ্যে ১০ জন জামিন পেলেন। এদিন জামিন নাকচ হওয়া প্রাক্তন টেলিকম সচিব সিদ্ধার্থ বেহুরার পাশাপশি তিহার জেলে রয়েছেন, প্রাক্তন টেলিকমমন্ত্রী আন্দিমুথু রাজা, রাজার প্রাক্তন ব্যক্তিগত সচিব আর কে চান্দোলিয়া এবং রাজার ঘনিষ্ঠ বন্ধু শাহিদ উসমান বালওয়া। ২০০৮ সালের টুজি দুর্নীতিতে এঁদেরই মূল চক্রান্তকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে সিবিআই চার্জশিটে।

.