যাঁর হাত ধরে লাইমলাইটে 'বাবা কা ধাবা', তাঁর বিরুদ্ধেই টাকা লোপাটের অভিযোগ 'বাবা'র
যে ফোন নম্বর ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর দেওয়া হয়েছে তা গৌরব ওয়াসানের।
নিজস্ব প্রতিবেদন: গরীবের টাকা হাতিয়ে বড় লোক হওয়া যায় কি? কিন্তু এই অসাধু কাজে লিপ্ত হয়ে একাধিক মানুষ নিজের স্বার্থ সিদ্ধি করে চলেছেন। সম্প্রতি 'বাবা কা ধাবা' ভাইরাল হয়েছিল নেট পাড়ায়। যাতে হস্তক্ষেপ করেছিলেন তাবড় তাবড় সেলেবরা। মাছি তাড়ানো দোকান, এক রাতে রমরমিয়ে চলতে শুরু করে সামন্য একটা সোশাল মিডিয়া পোস্টের দৌলতে। কিন্তু যিনি সেই পোস্টটি করেছিলেন, তার নামেই থানায় অভিযোগ করলেন বাবা কা ধাবার মালিক ৮০ বছরের বৃদ্ধ কান্তা প্রসাদ।
বাবা কা ধাবার মালিক ৮০ বছরের বৃদ্ধ কান্তা প্রসাদ দক্ষিণ দিল্লির মালভিয়া নগরের থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন, ইনস্টাগ্রাম ইনফ্লুয়েন্সার গৌরব ওয়াসনের নামে। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর নাম করে যে ফান্ড জনসাধারণের থেকে তোলা হচ্ছে তার সিকি ভাগও তাঁর কাছে এসে পৌঁছায়নি।
আরও পড়ুন: বিভ্রান্ত হবেন না, ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত স্কুল বন্ধ রাখার নোটিস জারি করেনি কেন্দ্র
গৌরব ওয়াসন ইনস্টাগ্রামের চেনা মুখ। তার প্রোফাইল ঘেটে দেখা গেল, ইনি সাধারণত এরকমই নিম্নবিত্ত, গরীব মানুষের পরিচয় করিয়ে দেন সোশ্যাল নাগরিকদের সঙ্গে এবং তাদের টাকা দিয়ে সাহায্য করার আর্জি জানায়। ঠিক সেই মোতাবেক ছিল 'বাবা কা ধাবা'র ভিডিও। কিন্তু, ভাগ্যক্রমে সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায় সেলেবদের হাতে। হু হু করে বাড়তে থাকে ফলোয়ার্স, ভিউয়ার্স, লাইক, কমেন্ট। ঝড় বয়ে যায় ইন্টারনেটে। লোকজন খেতে পৌঁছে যায় সেই দোকানে। দেওয়ালে দেওয়ালে গ্রাফিটি এঁকে প্রচার হয় ওই বৃদ্ধ বাবার। রোজগার বেড়ে যায় তাঁর। যেন অনুঘটক হয়ে কাজ করেন গৌরব ওয়াসন। কিন্তু এত কিছুর মাঝে কি ঢুকে পড়ে অসাধু কারাবার?
পুলিসের কাছে কান্তা প্রসাদ জানিয়েছেন, গৌরব ওয়াসান তার ভিডিওটি শ্যুট করেছেন এবং অনলাইনে পোস্ট করেছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় জনসাধারণকে অর্থ অনুদানের জন্য বলেছিলেন। কিন্তু যে ফোন নম্বর ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর দেওয়া হয়েছে তা গৌরব ওয়াসানের। অনুদানের কোনও টাকা তাঁর কাছে আসেনি।
আরও পড়ুন: ভয় পাওয়াচ্ছে আমেরিকা, প্রতি সেকেন্ডে একজনের বেশি আক্রান্ত হচ্ছে করোনায়
ওয়াসান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি সমস্ত টাকা প্রসাদের অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করেছেন বলে জানিয়েছেন, তিনি বলেন, “আমি যখন ভিডিওটি শ্যুট করেছি তখন আমি জানতাম না যে এটি এত বড় হয়ে উঠবে। আমি চাইনি যে লোকেরা বাবা (প্রসাদ) কে হয়রানি করবে তাই আমি আমার ব্যাঙ্কের বিবরণ শেয়ার করেছিলাম। তিনি আরও বলেন, ২৭ অক্টোবর তিনটি লেনদেনে টাকা শেয়ার করেছি। দুটি চেকে ১,০০,০০০ এবং ২,৩৩,০০০ টাকা এবং ব্যাঙ্কের অনলাইন ট্রান্জাকশনের মাধ্যমে ৪৫,০০০ টাকা। সেই ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট শেয়ারও করেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
কিছু ইউটিউবার্স অভিযোগ করেছেন, যে ওয়াসানকে ২০-২৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে, তবে ওয়াসান তা অস্বীকার করেছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন।