নিজস্ব প্রতিবেদন: শেষ পর্যন্ত আস্থাভোটে জিতলেন বিএস ইয়েদুরাপ্পা। গত বার মুখ্যমন্ত্রী পদে আসীন হয়ে যা করতে পারেননি, এবার তা করে দেখালেন। এদিন বিএস ইয়েদুরাপ্পাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিএস বিধায়ক কুমারস্বামী বলেন, ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়। এমনকি নরেন্দ্র মোদী এবং জেপি নাড্ডার জন্যও নয়। তিনি এ দিন বিজেপিকে আশ্বাস এবং কটাক্ষ করে বলেন, “আপনাদের হাতে ১০৫ বিধায়ক ১০০ কমানোর চেষ্টা আমরা করবো না। মানুষের স্বার্থে আপনাদের সহযোগিতা করব।”


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


কংগ্রেস বিধায়ক সিদ্দারামাইয়া এদিন ইয়েদুরাপ্পাকে কটাক্ষ করে বিধানসভায় বলেন, মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন কিন্তু কোনও গ্যারান্টি নেই। বিদ্রোহী বিধায়কদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন কিন্তু তাঁদের নিয়ে স্থায়ী সরকার গড়তে পারবেন কি? প্রশ্ন তোলেন সিদ্দারামাইয়া। এরপর আস্থাভোটের বিরোধিতা করে তাঁর অভিযোগ, এই সরকার অসংবিধানিক এবং অনৈতিক।


আরও পড়ুন- সংসদে কুমন্তব্য করায় ক্ষমা আজম খানের, ওনার স্বভাবই খারাপ, কটাক্ষ রমাদেবীর


গতকাল স্পিকার রমেশ কুমার দলত্যাগ বিরোধী আইনে ১৪ বিদ্রোহী বিধায়কদের বিধায়ক পদ বাতিল করেন। এর আগে আরও ৩ জনের বিধায়ক পদ খারিজ করে দিয়েছেন তিনি। যার ফলে, সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে পথ আরও সুগম হয় বিজেপির। অন্য দিকে কংগ্রেস এবং জেডিএস জোটের সরকার গড়ার কোনও সম্ভাবনাই ছিল না।    


উল্লেখ্য, বিধায়ক পদ খারিজ হওয়া ওই ১৭ জন আগামী চার বছরে মন্ত্রী হওয়া তো দূর ভোটে লড়ার ক্ষমতা হারালেন। এর জন্য স্পিকারের এই সিদ্ধান্তের জন্য সাধুবাদ জানান কংগ্রেস-জেডিএস বিধায়করা। সিদ্দারামাইয়া বলেন, লোভী রাজনীতিকদের জন্য কড়া বার্তা পৌঁছল। স্পিকারের এই সিদ্ধান্ত দেশের কাছে দৃষ্টান্ত তৈরি হল বলে মনে করছেন জেডিএস বিধায়করা। উল্লেখ্য, এর আগে বিদ্রোহী বিধায়কদের ইস্তফাপত্র নিয়ে স্পিকারের বিরুদ্ধে গরমসীর অভিযোগ তুলে অনাস্থা প্রস্তাবে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিল। কিন্তু এ দিনের সিদ্ধান্তে স্পিকারের বিরুদ্ধে বিজেপি আপাতত কোনও পদক্ষেপ করছে বলে সূত্রে খবর।


স্পিকারের এই সিদ্ধান্তে ২২৫ আসনের (একজন মনোনীত সদস্য ও স্পিকার) কর্নাটকে মোট সদস্য সংখ্যা দাঁড়াল ২০৮। দু’দফায় ১৭ জনের বিধায়ক পদ খারিজ করা হয়। যার ফলে এই মুহূর্তে ম্যাজিক ফিগার দাঁড়াচ্ছে ১০৫। বিজেপির নিজের ১০৫ বিধায়ক এবং নির্দল বিধায়কের সমর্থনে অনায়াসে সংখ্যগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে সমর্থ হল।