ইদের দিনে হিংসাত্মক প্রতিবাদে উত্তপ্ত শ্রীনগর
ইদের দিনে হিংসাত্মক প্রতিবাদে সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল ভূস্বর্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। শ্রীনগরের বেশ কিছু জায়গায় আজকেও উড়তে দেখা গেল পাকিস্তান ও লস্কর-ই-তৈবার পতাকা। শ্রীনগরের মূল উপাসনাস্থল, ইদগাহতে ভয়ানক সংঘর্ষ হয়। আজ সেখানে নামাজের সময় হুরিয়ত চেয়ারম্যান মিরওয়াইজ উমর ফারুকের নৈতিক বক্তৃতা রাখার কথা ছিল। যা প্রায় দীর্ঘ এক শতক ধরে তাদের ঐতিহ্য।
ওয়েব ডেস্ক: ইদের দিনে হিংসাত্মক প্রতিবাদে সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল ভূস্বর্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। শ্রীনগরের বেশ কিছু জায়গায় আজকেও উড়তে দেখা গেল পাকিস্তান ও লস্কর-ই-তৈবার পতাকা। শ্রীনগরের মূল উপাসনাস্থল, ইদগাহতে ভয়ানক সংঘর্ষ হয়। আজ সেখানে নামাজের সময় হুরিয়ত চেয়ারম্যান মিরওয়াইজ উমর ফারুকের নৈতিক বক্তৃতা রাখার কথা ছিল। যা প্রায় দীর্ঘ এক শতক ধরে তাদের ঐতিহ্য।
কিন্তু এই মুহূর্তে সরকারের নির্দেশে গৃহবন্দী তিনি। হুরিয়ত মুখপাত্র বলেন, "মিরওয়াইজকে নামাজ পড়তে দেওয়া হচ্ছে না। ধর্মীয় রীতিনীতি পালনে বাঁধা দিচ্ছে সরকার"। শ্রীনগরে নিজের বাসগৃহ থেকে মিরওয়াইজ উমর ফারুককে আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ। কেবলমাত্র ফোনেই ঈদের ধর্মসভা করার ছাড় দেওয়া হয়েছে তাকে। "কাশ্মীরের মানুষের আকাঙ্খার কথা জানানোর কোনও উপায় নেই আমার কাছে। পাকিস্তান এবং ভারতে দুই দেশেরই উচিত কাশ্মীর সম্পর্কে কিছু অর্থবহ আলোচনা করা" জানান হুরিয়ত চেয়ারম্যান মিরওয়াইজ উমর ফারুক।
দুই দেশের কাছেই তিনি আবেদন জানিয়েছেন, ভারত-পাকিস্তান বর্ডার লাইনে যেন গুলির বিনিময় বন্ধ করা হয়। এরপরই কাশ্মীর নিয়ে বিজেপি এবং পিডিপি সরকারের অবস্থানে ক্ষিপ্ত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মিছিল নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তাঁরা ওই ধর্মসভায়ই পাকিস্তানের পতাকা উড়াতে শুরু করেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে গ্যাস নিক্ষেপ করে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ইনস্পেক্টর জেনারেল এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জানান, "আইন শৃঙ্খলা ভঙ্গ হতে পারে এমন কোনও ঘটনাকে কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না"।
কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ, ভূস্বর্গে এই বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আন্দোলনের জন্য বিজেপি সরকারকে দায়ী করেছেন।