এনকাউন্টারে দেশবাসীর উচ্ছ্বাসই প্রমাণ বিচার ব্যবস্থার উপর আস্থা হারাচ্ছে মানুষ: কেজরীবাল
তিনি জানান, একের পর এক ধর্ষণের ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছিল মানুষ। সে উন্নাও হোক হায়দরাবাদ। কিন্তু এনকাউন্টারে মানুষের মনে খুশি। এখানেই উদ্বেগের বিষয় মানুষ বিচারব্যবস্থার উপর বিশ্বাস হারাচ্ছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: হায়দরাবাদ এনকাউন্টার নিয়ে দেশবাসীর উচ্ছ্বাসই প্রমাণ করছে বিচার ব্যবস্থার উপর আস্থা হারাচ্ছেন মানুষ। পশুচিকিত্সক হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্তদের এনকাউন্টার প্রসঙ্গে এমনটাই প্রতিক্রিয়া দিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল।
তিনি জানান, একের পর এক ধর্ষণের ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছিল মানুষ। সে উন্নাও হোক হায়দরাবাদ। কিন্তু এনকাউন্টারে মানুষের মনে খুশি। এখানেই উদ্বেগের বিষয় মানুষ বিচারব্যবস্থার উপর বিশ্বাস হারাচ্ছেন। রাজ্যগুলিকে কেজরীবালের বার্তা, বিচার ব্যবস্থাকে আরও মজবুত করতে এ গিয়ে আসতে হবে সব সরকারকে। আজ ভোরে হায়দরাবাদে পশু চিকিত্সককে হত্যার ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ৪ অভিযুক্তকে। ঘটনার পুননির্মাণ করতে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় বলে পুলিসের দাবি। সে সময় অভিযুক্তরা পুলিসের বন্দুক ছিনিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পুলিসের সঙ্গে গুলি বিনিময়ে মৃত্যু হয় ওই চার অভিযুক্তের। এমনটাই দাবি করে তেলেঙ্গানার পুলিস।
আরও পড়ুন- ভিডিয়ো: বিয়ের অনুষ্ঠানে নাচ বন্ধ করে দেওয়ায় মহিলাকে সটান গুলি মদ্যপের
হায়দরাবাদ এনকাউন্টার নিয়ে দ্বিবিভক্ত বিজেপি। এই ঘটনা পুলিসের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করল তেলঙ্গানার বিজেপি। বিবৃতি দিয়ে বিজেপির তরফে জানানো হয়, রাজ্যের দায়িত্বশীল বিরোধী হিসাবে দাবি, সরকার এবং ডিজিপি সাংবাদিক বৈঠক করে ঘটনার ব্যাখ্যা দিক। মানেকার অভিযোগ, এভাবে মানুষকে হত্যা করে পুলিস নিজের হাতে আইন নিতে পারে না। অভিযুক্তদের ফাঁসি হওয়া উচিত। কিন্তু আদালতে বিচারপ্রক্রিয়ার মাধ্যমেই। অন্যদিকে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী রাজ্যবর্ধন রাঠোর পুলিসের ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, “পুলিসের মতোই কাজ করেছে তেলেঙ্গানার পুলিস।”