দাঙ্গা, কংগ্রেস নয়, প্রাক্তন বন্ধুরাই অন্তরায় মোদীর

গোধরা নয়, সোনিয়া গান্ধী নয়, কংগ্রেস নয়। নির্বাচনের প্রচারে নরেন্দ্র মোদীকে কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছেন তাঁর একসময়ের ঘনিষ্ঠরাই। তাঁদের একজন কেশুভাই প্যাটেল। গুজরাতের রাজনীতিতে মোদীর গুরু হিসেবেই পরিচিত তিনি। অন্যজন গোবর্ধন জারাপিয়া। তিনি মোদীর প্রাক্তন সেনাপতি। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মোদীর গদি যদি টলে, তাহলে তার অন্যতম কারণ হবেন এই দুজন। গুজরাট থেকে রজতশুভ্র মুখোটির বিশেষ প্রতিবেদন।

Updated By: Dec 10, 2012, 09:45 PM IST

গোধরা নয়, সোনিয়া গান্ধী নয়, কংগ্রেস নয়। নির্বাচনের প্রচারে নরেন্দ্র মোদীকে কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছেন তাঁর একসময়ের ঘনিষ্ঠরাই। তাঁদের একজন কেশুভাই প্যাটেল। গুজরাতের রাজনীতিতে মোদীর গুরু হিসেবেই পরিচিত তিনি। অন্যজন গোবর্ধন জারাপিয়া। তিনি মোদীর প্রাক্তন সেনাপতি। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মোদীর গদি যদি টলে, তাহলে তার অন্যতম কারণ হবেন এই দুজন। গুজরাট থেকে রজতশুভ্র মুখোটির বিশেষ প্রতিবেদন।  

কেশুভাই প্যাটেল গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। গুজরাতে বিজেপি রাজনীতির পথিকৃত্। মোদীর রাজনীতির গুরুও তিনি। এখন মোদীকে হঠাতেই মরিয়া কেশুভাই প্যাটেল। বিজেপি ছেড়ে গড়েছেন গুজরাত পরিবর্তন পার্টি।
রাজ্যে মোদীর উত্থানের পর থেকেই গুজরাত বিজেপিতে কেশুভাইয়ের গুরুত্ব কমতে থাকে। ২০০২-এর নির্বাচনে সক্রিয়ভাবে মোদীর সমর্থনে প্রচার করেছিলেন কেশুভাই। ২০০৭-এ নিজেকে ভোটের প্রচার থেকে দূরে রাখেন । এবার সরাসরি মোদীর বিরুদ্ধে কেশুভাই ময়দানে নেমেছেন। আর মোদীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কেশুভাই পাশে পেয়েছেন মোদীরই এক প্রাক্তন সেনাপতিকে।  গোবর্ধন জারাপিয়া।
গোবর্ধন জারাপিয়া মোদীর প্রাক্তন সেনাপতি। গোধরা কাণ্ড ও পরবর্তী হিংসার সময় গোবর্ধন জারাপিয়া ছিলেন গুজরাতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। মোদীর রণকৌশল সম্পর্কে ওয়াকিবহাল জারাপিয়া। এখন যোগ দিয়েছেন কেশুভাইয়ের দলে। অনুগামীরা বলছেন, গুজরাতে কেশুভাইয়ের জনভিত্তি এখনও অটুট।
যদিও কেশুভাইয়ের বিদ্রোহকে বিশেষ আমল দিতে নারাজ বিজেপি শিবির। মোদীর উন্নয়নের স্লোগান এবারের নির্বাচনে কতটা কাজে লাগবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েই গিয়েছে। কারণ সৌরাষ্ট্র। রাজ্য রাজনীতিতে চালু প্রবাদ, সৌরাষ্ট্রর পথ পেরিয়েই পৌঁছতে হয় গান্ধীনগরে।
সাতটি জেলা নিয়ে গঠিত সৌরাষ্ট্রে বিধানসভা আসনের সংখ্যা ৫৪। কেশুভাই প্যাটেলের জন্যেই ২০০২ ও ২০০৭-এ মোদীর পক্ষেই মত দিয়েছিলেন সৌরাষ্ট্রের মানুষ। এবার পরিস্থিতি বদলাতেও পারে।
ডিসেম্বরের ১৩ তারিখ প্রথম দফার ভোটেই সৌরাষ্ট্র চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছেন মোদী। দুই মরশুমের অনাবৃষ্টিতে সৌরাষ্ট্রে জলের সঙ্কট প্রকট। খারাপ ফলনের জন্য আত্মঘাতী হয়েছেন বহু কৃষক। স্বাভাবিকভাবেই রয়েছে সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ। কেশুভাইয়ের টানে সৌরাষ্ট্র সঙ্গ ছাড়লে মোদীর গদি টলতে পারে বলেই ধারনা বিশেষজ্ঞদের।

.