চপার বিতর্ক: তিন মুখ, এক কথা
হেলিকপ্টার দুর্নীতি নিয়ে ওঠা পদত্যাগের দাবি খারিজ করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কে অ্যান্টনি। সেইসঙ্গে তিনি এও স্পষ্ট করে দেন, এ বিষয়ে সরকারের লুকোনোর কিছুই নেই। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে এমনটা জানিয়েছেন অ্যান্টনি।
হেলিকপ্টার দুর্নীতি নিয়ে ওঠা পদত্যাগের দাবি খারিজ করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কে অ্যান্টনি। সেইসঙ্গে তিনি এও স্পষ্ট করে দেন, এ বিষয়ে সরকারের লুকোনোর কিছুই নেই। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে এমনটা জানিয়েছেন অ্যান্টনি।
চপার দুর্নীতি নিয়ে সমস্ত স্তরে তদন্ত চলছে বলে দাবি রেখেছে ভারত। ইতালির আদালতে চলা তদন্ত থেকে তথ্য পেতে সবরকম ব্যবস্থাই করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সলমন খুরশিদ। বিদেশমন্ত্রী এও জানান, দিল্লির এক সিবিআই দলকে ইতিমধ্যেই ইতালির মিলানে পাঠানো হয়েছে। চপার দুর্নীতির অগ্রগতির ওপর নজর রাখতেই তাঁদের ইতালিতে পাঠানো হয়েছে। খুরশিদ বলেন, "দু`দেশের আদালতের মধ্যে তথ্য আদানপ্রদানের মধ্যে দিয়েই তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।"
ইতালি ভারতকে এই চুক্তি প্রসঙ্গে কোনও তথ্য দিতে নারাজ হওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করায় খুরশিদ এ কথা জানান। ভারত যে কোনও ভাবেই চুক্তির তথ্য ইতালির সরকারের থেকে পাবে না সে কথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী। তিনি বলেন, "ইতালির থেকে চুক্তির তথ্য আমরা পাব না। সে দেশের সরকারের তদন্তের নিরিখে আমরা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছি।" কিন্তু সে দেশের সরকার তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে ভারতকে কতটা সাহায্য করবে, সে বিষয়টি তাদের ওপরই বরতায় বলে দাবি খুরশিদের।
অন্যদিকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিরুদ্ধে ওঠা নতুন দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে এই প্রথম মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। ভিভিআইপিদের ব্যবহারের জন্য কেনা হেলিকপ্টার চুক্তি নিয়ে লুকোনোর কিছুই নেই। বিরোধীদের আক্রমণের পাল্টা হিসেবে সোমবার এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, "হেলিকপ্টার চুক্তি নিয়ে সরকারের কিছুই লুকোনোর নেই। সরকার সব বিষয়েই আলোচনার জন্য প্রস্তুত।" কপ্টার প্রস্তুতকারী সংস্থা অগস্তা ওয়েস্টল্যান্ডের ধারক সংস্থা ফিনমেকানিকার সিইও, ধৃত গিওসিসপে ওরসি দাবি করেছেন, প্রাক্তন বায়ুসেনা প্রধান এস পি ত্যাগীর পরিবারের কাউকে তিনি চিনতেন না। দুর্নীতির তদন্তে সরকারের বিরুদ্ধে অস্বচ্ছতার অভিযোগ করেছে বিজেপি। বিষয়টি নিয়ে সংসদ অচল করারও কথা ভাবছে ভরতীয় জনতা দল নেতৃত্ব।