আর্থিক সঙ্কটে কিংফিশার, আন্তর্জাতিক উড়ান পরিষেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত

আগামী ২৫ মার্চ থেকে আন্তর্জাতিক উড়ান পরিষেবা বন্ধ করে দিচ্ছে বিমানসংস্থা কিংফিশার। কমানো হবে ঘরোয়া উড়ানের সংখ্যা কমানো হবে বলেও ঘোষণা করেন সংস্থার মালিক বিজয় মালিয়া। তবে কিংফিশারের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হলেও, এখনই লাইসেন্স বাতিলের কথা ভাবছে না কেন্দ্রীয় সরকার। আগামী কয়েকদিন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পরেই কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছে ডিরেক্টর জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন ই কে ভারতভূষণ।

Updated By: Mar 21, 2012, 09:51 AM IST

আগামী ২৫ মার্চ থেকে আন্তর্জাতিক উড়ান পরিষেবা বন্ধ করে দিচ্ছে বিমানসংস্থা কিংফিশার। কমানো হবে ঘরোয়া উড়ানের সংখ্যা কমানো হবে বলেও ঘোষণা করেন সংস্থার মালিক বিজয় মালিয়া। তবে কিংফিশারের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হলেও, এখনই লাইসেন্স বাতিলের কথা ভাবছে না কেন্দ্রীয় সরকার। আগামী কয়েকদিন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পরেই কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছে ডিরেক্টর জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন ই কে ভারতভূষণ। প্রথমে দিল্লি-লন্ডন রুটের বিমান ছাড়া ২৫ মার্চ থেকে সব আন্তর্জাতিক বিমান বাতিল করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কিংফিশার এয়ারলাইন্স। ৯ এপ্রিলের পর থেকে দিল্লি-লন্ডন রুটের বিমান বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া। এপরপ ১০ এপ্রিল থেকে তাদের সব আন্তর্জাতিক উড়ান বন্ধ করে দেওয়ার নিয়েছিল এয়ারলাইন্স। কিন্তু আর্থিক সঙ্কট ক্রমাগত বাড়তে থাকায় ২৫ মার্চ থেকেই এবার আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ করে দিচ্ছে কিংফিশার।
আর্থিক সমস্যায় দীর্ঘদিন ধরেই সঙ্কটে বিমানসংস্থা কিংফিশার। পেট্রোলিয়াম কোম্পানিগুলির বকেয়া মেটানো বাকি। ব্যাঙ্কগুলিও আর ঋণ দিতে চাইছে না সংস্থাকে। বাকি রয়েছে কর্মীদের বেতনও। পরিস্থিতি আরও জটিল হয় কেন্দ্রীয় সরকারের হুঁশিয়ারিতে। যাত্রী নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগুলি দ্রুত কার্যকর না করলে সংস্থার লাইসেন্স বাতিল করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিজয় মালিয়াকে তলব করেছিলেন ই কে ভারতভূষণ। তাঁর কাছে সংস্থার আর্থিক পরিস্থিতির কথা জানিয়েছেন বিজয় মালিয়া। আগামীদিনে কিংফিশার ২০টি বিমানের মাধ্যমে তাদের ঘরোয়া পরিষেবা চালু রাখবে বলে ভারতভূষণকে জানিয়েছেন বিজয় মালিয়া।

অন্যদিকে ভারতভূষণ জানিয়েছেন, বিজয় মালিয়ার কথায় তিনি আত্মবিশ্বাসের কোনো ঝলক দেখতে পাননি। কিংফিশার ঘুরে দাঁড়াতে পারে, এমন কোনও নিশ্চয়তা তিনি বিজয় মালিয়ার কথা থেকে পাননি বলে জানিয়েছেন ভারতভূষণ। তবে এখনই সংস্থার লাইসেন্স বাতিল করার কথা ভাবলেও পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রাখা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এই পরিস্থিতিতে আগামী কয়েকদিন কিংফিশারের দিকে নজর থাকবে গোটা শিল্পজগতের। অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিংফিশারের লাইসেন্স বাতিল হলে তার প্রভাব পড়বে গোটা শিল্পজগতের ওপর।
 

.