ওয়েব ডেস্ক : প্রকৃতির সঙ্গে অসম লড়াইয়ে শেষপর্যন্ত হার স্বীকার। কিন্তু, তার আগে রেখে গেলেন কিছু বিস্ময়। অসম্ভবকে করে দেখালেন সম্ভব। ল্যান্স নায়েক হনুমন্থাপ্পা। ৩৫ ফিট বরফের নীচে টানা ছয়দিন ধরে চাপা পড়ে থাকার পরও জীবনের লড়াই ছাড়েননি তিনি। জওয়ানরা যখন তাঁকে উদ্ধার করেন, তখন তাঁর কিডনি বিকল, হৃদস্পন্দন অনিয়মিত, নিউমোনিয়া আক্রান্ত। তবু থাবা বসাতে পারেনি ফ্রস্ট বাইট। কোমাচ্ছন্ন হয়ে দিল্লির সেনা হাসপাতালে দুদিন ধরে ভর্তি ছিলেন। যমে মানুষে টানাটানির পর অবশেষে আজ অসম লড়াইয়ে ইতি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দেশের এই বীর যোদ্ধার জীবনের কিছু অজানা তথ্য:


  • ছোটো থেকেই ছিল না হারার মানসিকতা। লড়াকু মনোভাবের জন্য স্কুলজীবনে সবাই চিনত ডাকাবুকো ছেলেটাকে। রোজ ৬ কিলোমিটার হেঁটে স্কুলে যেতেন হনুমন্থাপ্পা। পড়তেন কর্নাটকের ধারওয়াড় জেলার আরালিকাত্তি গ্রামের একটি স্কুলে।


 


  • সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার স্বপ্নটা ছিল ছোটো থেকেই। তাই তিন-তিনবার নিয়োগপ্রক্রিয়ায় অসফল হয়েও হাল ছাড়েননি। অবশেষে আসে সাফল্য। যোগ দেন মাদ্রাস রেজিমেন্টে।


 


  • কর্নাটকের ধারওয়াড় জেলার বেতাদুর গ্রামে থাকে ল্যান্স নায়েক হনুমন্থাপ্পা কোড়াপ্পার পরিবার। ওই গ্রামেই জন্ম দেশের এই বীর সন্তানের। সম্প্রতি এই গ্রাম থেকে আরও ছয়জন যোগ দিয়েছে সেনাবাহিনীতে।


 


  • তুষারধসের কবলে পড়ার আগেরদিনই বাড়িতে ফোন করেছিলেন হনুমন্থাপ্পা। বাড়ির সবাই কেমন আছেন, সেই খোঁজখবর নিয়েছিল বাড়ির ছেলে।


 


  • চার বছর আগে বিয়ে। স্ত্রীর নাম মহদেবী। তাঁদের ২ বছরের এক মেয়েও রয়েছে।