জঙ্গল ছুট চিতা বাঘের আক্রমণে উত্তর প্রদেশের মীরাটে আহত ছয়, আতঙ্ক শহরের রাজপথে, বন্ধ সমস্ত স্কুল, কলেজ
জঙ্গল ছুট এক চিতা বাঘের দাপটে উত্তরপ্রদেশের মীরাট জুড়ে আতঙ্ক ছড়াল। ভয়ে বন্ধ করে দেওয়া হল দিল্লি থেকে মাত্র দু`ঘণ্টা দূরের এই শহরের সমস্ত স্কুল, কলেজ।
জঙ্গল ছুট এক চিতা বাঘের দাপটে উত্তরপ্রদেশের মীরাট জুড়ে আতঙ্ক ছড়াল। ভয়ে বন্ধ করে দেওয়া হল দিল্লি থেকে মাত্র দু`ঘণ্টা দূরের এই শহরের সমস্ত স্কুল, কলেজ।
রবিবার মীরাটের প্রান্ত এলাকার গ্রামাঞ্চলের পাশের জঙ্গল থেকে এই চিতা বাঘটি কোনও ভাবে বেড়িয়ে শহরে ঢুকে পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে চিতা বাঘটির দ্বারা বেশ কিছু মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। বাঘটিকে প্রথমে একটি হাসপাতালে বন্ধ করে রাখা হলেও সেখান থেকেই সে পালায়। সেনাবাহিনী চিতা বাঘটির খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে মীরাট জুড়ে।
রবিবার সকালে মীরাটের একটি বাজারে প্রথম চিতা বাঘটিকে দেখা যায়। সেখানে চিতা বাঘটি দু`জনের উপর আক্রমণ করলে ওই অঞ্চলে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। আতঙ্কে লোকজন দিকশূন্য হয়ে ছোটাছুটি শুরু করলে ওই বাজারে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। পুলিস জনতাকে শান্ত করতে শেষ পর্যন্ত লাঠি চার্জ করে।
একজন ফটোগ্রাফার সহ ছ`জন ওই চিতা বাঘের আক্রমণে আহত হন। এরপর পুলিস শূন্যে গুলি ছুঁড়লে চিতা বাঘটি এক ছাদ থেকে অন্য ছাদে লাফিয়ে শেষ পর্যন্ত একটি হাসপাতাল চত্বরে ঢুকে পড়ে।
ওই হাসপাতালে চিতা বাঘটি এমন একটি ওয়ার্ডে ঢুকে পড়ে যেখানে পাঁচজন রোগী ভর্তি ছিলেন। হাসপাতাল কর্মচারীরা কোনওরকমে ওই পাঁচজনকে বাড় করে এনে ওয়ার্ডে মধ্যে চিতা বাঘটিকে আটকে রাখে।
সারাদিন ধরেই বহুলোক জন হাসপাতালটিকে ঘিরে জমা হয়। চিতা বাঘটি ওই ওয়ার্ডের একটি জানলা দিয়ে লাফিয়ে বাইরে বেড়িয়ে হঠাৎই অদৃশ্য হয়ে যায়।
হাসপাতালটির খুব কাছেই সংরক্ষিত জঙ্গল রয়েছে। কিন্ত রবিবার সারাদিনও চিতা বাঘটিকে কব্জা করার জন্য কোনও বিশেষজ্ঞকে পাওয়া যায়নি। দিল্লি ও রাজস্থানকে বিশেষজ্ঞ দলকে ডাকা হয়েছে চিতা বাঘটিকে ধরার জন্য।
ওই ক্যানটনমেন্ট অঞ্চলের সাধারণ মানুষকে বাড়িতে থাকার অনুরোধ করা হয়েছে। দোকানপাঠও বন্ধের আর্জি জানানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে।