ইতিহাস তৈরি করে ত্রিপুরায় অক্ষুণ্ণ লাল দূর্গ
ইতিহাস তৈরি হল ত্রিপুরায়। ত্রিপুরায় নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে বামেরা নিজেরদের আধিপত্য বজায় রাখলেন। এই নিয়ে সপ্তম বার ত্রিপুরার মসনদে বসতে চলেছে বামফ্রন্ট। ১৯৯৮ থেকে এই নিয়ে চারবার মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন মানিক সরকার। নিকটতম কংগ্রেস প্রতিদ্বন্দ্বি ছয় হাজারেরও বেশি ভোটে পরাজিত হলেন মানিক ম্যাজিকের কাছে। পরিবর্তনের স্লোগানকে ছুঁড়ে ফেলে লাল পতাকার উপরই ভরসা রাখলেন ত্রিপুরার মানুষ।
ত্রিপুরার রায় একনজরে
মোট আসন-- ৬০
বামফ্রন্ট জয়ী ৫০টি আসনে
কংগ্রেস জয়ী ১০টি আসনে
আগের বারের তুলনায় একটি আসন বাড়িয়ে নিলেন বামেরা
ইতিহাস তৈরি হল ত্রিপুরায়। ত্রিপুরায় নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে বামেরা নিজেরদের আধিপত্য বজায় রাখলেন। এই নিয়ে সপ্তম বার ত্রিপুরার মসনদে বসতে চলেছে বামফ্রন্ট।
১৯৯৮ থেকে এই নিয়ে চারবার মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন মানিক সরকার। নিকটতম
কংগ্রেস প্রতিদ্বন্দ্বি ছয় হাজারেরও বেশি ভোটে পরাজিত হলেন মানিক ম্যাজিকের
কাছে। পরিবর্তনের স্লোগানকে ছুঁড়ে ফেলে লাল পতাকার উপরই ভরসা রাখলেন ত্রিপুরার মানুষ।
নির্বাচনের আগে ত্রিপুরায় পরিবর্তনের জোরদার প্রচার চালিয়েছিল কংগ্রেস। কংগ্রেসের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক রাহুল গান্ধী নিজে নির্বাচনী প্রচারে এসে ত্রিপুরা থেকে বামফ্রন্টকে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ছিলেন। কিন্তু রাহুল জাদু যে ভারতের উত্তর-পূর্বের ছোট্ট রাজ্যটির লাল দূর্গের দেওয়ালে বিন্দুমাত্র আঁচড় কাটতে পারেনি আজকের ফলাফল তা স্পষ্ট করে দিয়ে গেল। এবছর ত্রিপুরায় মোট ৯৩% শতাংশ ভোট পড়েছিল। যা দেশের মধ্যে বিধানসভা নির্বাচনের সর্বকালীন রেকর্ড। এই বিপুল সংখ্যক ভোটদানের পর বামেদের নিরঙ্কুশ বিজয় ত্রিপুরায় কার্যত অকেজো করেদিল রাহুল ফর্মুলাকে। ত্রিপুরায় বামেদের এই বিপুল জয় দেশীয় রাজনীতিতে বাম রাজনীতির প্রাসঙ্গিকতাকে ভীষণভাবে আরও একবার প্রতিষ্ঠিত করে দিয়ে গেল।
সকাল ৮টা থেকে ১৬টি মহকুমার ৪৬টি আসনে গণনা শুরু হয়েছিল। প্রতি গণনাকেন্দ্রে মোতায়েন করা হয়েছিল ত্রিস্তর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। গণনার কাজে নিযুক্ত ছিলেন মোট ২৫০০ ভোটকর্মী। ভোটগণনার সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াই সিসিটিভি ক্যামেরার নজরদারিতে হয়েছে। ভোটে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে বাংলাদেশ সীমান্ত সীল করে দেওয়া হয়েছিল।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরায় ভোটগ্রহণ হয়েছিল। ভোট পড়ে ৯৩ শতাংশ। ত্রিপুরা বিধানসভার ৬০টি আসনের মধ্যে সিপিআইএম প্রার্থী দিয়েছে ৫৫টিতে। সিপিআই এবং আরএসপি দুটি করে আসনে প্রার্থী দেয়। ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী দিয়েছে একটি আসনে।
উল্টোদিকে, ৪৮টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে কংগ্রেস। জোট শরিক আইএনপিটি ১১টি এবং ন্যাশনাল কনফারেন্স অফ ত্রিপুরা একটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।