ছারখার করে বিরোধীদের পরাজয়ের ৩ কারণ বাতলে দিলেন বিনয়ী প্রধানমন্ত্রী
ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তন নরেন্দ্র মোদীর।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ২০১৪ সালের চেয়ে তীব্রতর হয়েছে মোদী ঝড়। ব্যক্তিগত ক্যারিশ্মায় গোটা দেশে তাঁর কাছাকাছি কেউ নেই, সেটা আবারও প্রমাণ করে ছাড়লেন নরেন্দ্র মোদী। বিরাট জয়ের পরও বিনয়ী প্রধানমন্ত্রী। দিল্লিতে দলের সদর দফতরে নরেন্দ্র মোদী বললেন,''ফকিরের ঝুলি ভরে দিয়েছেন দেশবাসী। জয় উত্সর্গ করছি সাধারণ মানুষের চরণতলে''।
দুই সাংসদ থেকে পরপর দুটি লোকসভা ভোটে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল বিজেপি। সে কথা স্মরণ করিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন,''দুই দেশে দ্বিতীয়বার এসেছি। দুই সাংসদের দল যখন ছিলাম, তখনও নিরাশ হইনি। আজ জিতে আসার পরও আদর্শ, বিনয় ও বিবেককে বিসর্জন দেব না''। একইসঙ্গে মোদী বলেন, ''দেশ বিজয়ী হয়েছে। গণতন্ত্র জিতেছে। সাধারণ মানুষ জিতেছে। এটা নতুন ভারতের জনাদেশ। আজ দেখছি, দেশের কোটি কোটি নাগরিক ফকিরের ঝোলা ভরে দিয়েছে''।
বিরোধীদের কাছে যে ইস্যু নির্বাচনের মুখে থাকে, এবার সেগুলি ছিল না বলেও দাবি করেন মোদী। আর এটাই তাঁর জয়ের কারণ বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ''আগে ভোটের আগে দাবি উঠত, সব সেকুলার এক হয়ে যাও। ২০১৪ সাল থেকে ১৯ আসতে আসতে সেটা বলাই ছেড়ে দিয়েছে। নির্বাচনে একটাও দল সেকুলারিজমের মুখোশ পড়ে দেশকে বিপথে চালিত করেনি''।
দ্বিতীয় ইস্যু মূল্যবৃদ্ধি বলে দাবি করেন মোদী। তাঁর কথায়,''এবারের নির্বাচনে মূল্যবৃদ্ধি ইস্যু ছিল না। একজনও বিরোধী নেতানেত্রীর ভাষণে মূল্যবৃদ্ধি জায়গা পায়নি''। তৃতীয়ত দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন উপহার দিয়েছেন বলেও জানান মোদী। এর পাশাপাশি মোদীর আশ্বাস, ভারতে এখন একটাই জাতি, সেটা হল দারিদ্র। দারিদ্র থেকে দেশকে মুক্তি দিতে হবে।
বিরোধীদের সঙ্গে নিয়ে চলার বার্তাও দেন মোদী। দেশবাসীকে মোদীর প্রতিশ্রুতি,''কথা দিচ্ছি, বদ মানসিকতা নিয়ে কোনও কাজ করব না। কাজ করতে গিয়ে ভুল হতে পারে, সমালোচনা করুন। দেশবাসীকে আবারও বলব, নিজের জন্য কিছু করব না। আর একটা কথা, আমার জীবনের প্রতিটি মিনিট, শরীরের কণা কণা শুধুমাত্র দেশের জন্য বরাদ্দ। ঘাটতি থাকলে সমালোচনা করবেন। দেশকে ভরসা দিতে চাই, যা বলছি, সেটা মেনে চলার চেষ্টা করব''।
আরও পড়ুন- চার-পাঁচ জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পেতে চলেছে বাংলা, কারা পাচ্ছেন মন্ত্রিত্ব?