নিজস্ব প্রতিবেদন- বছর দুয়েক আগর ঘটনা। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে সয়াবিন চাষে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন চাষীরা। মধ্যপ্রদেশের বিদিশা জেলার চাষীদের মাথায় হাত পড়েছিল। শেষমেশ সরকারের দ্বারস্থ হন তাঁরা। রাজ্য সরকারের তরফে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলেও ক্ষতিপূরণ পাওয়ার কোনও আশাই দেখছিলেন না চাষীরা। শেষমেশ দুবছর পর চাষীদের ক্ষতিপূরণ দিল রাজ্য সরকার। কিন্তু সেটা ক্ষতিপূরণ নাকি প্রহসন সেটা বুঝতে পারলেন না কৃষকরা। সরকারের তরফে অনেক চাষীই মাত্র চার টাকা করে ক্ষতিপূরণ পেলেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনার আওতায় থেকেও কী করে চাষীরা মাত্র চার টাকা করে ক্ষতিপূরণ পান! এই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ঘটনার জানাজানি হওয়ার পর থেকে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। জানা যাচ্ছে বিদিশা জেলার বিচ্ছিয়ান গ্রামের বহু কৃষক ফসল নষ্ট হওয়ার জন্য চার থেকে দশ টাকা ক্ষতিপূরণ পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। দুবছর অপেক্ষা করানোর পর রাজ্য সরকারের এই প্রহসন কেউ মেনে নিতে পারছেন না। শিবরাজ সিং চৌহান সরকার আপাতত ঘটনার তদন্তের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কোনওরকম মুখরক্ষা করেছে।


আরও পড়ুন-  প্রধানমন্ত্রীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা রাহুলের, রইল খোঁচাও


মধ্যপ্রদেশের কৃষিমন্ত্রী কমল প্যাটেল আবার এমন অবস্থার জন্য বিগত কংগ্রেস সরকারকে দায়ি করেছেন। তাঁর দাবি, ''এখনও পর্যন্ত ২২ লক্ষ কৃষককে বিমার টাকা দিয়েছে সরকার। চার হাজার ৬৮৮ কোটি টাকা এরই মধ্যে বণ্টন করা হয়েছে। তবে ক্ষতিপূরণের মোট পরিমাণ ৬,১০০ কোটি হতে পারত। আগের সরকার কম প্রিমিয়াম দিয়ে বিমা কভারেজ ১০০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৭৫ শতাংশে নামিয়ে এনেছিল। আমরা চাষীদের অন্তত দুহাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করব।'' বিহারের সঙ্গে মধ্যপ্রদেশেরও ২৮টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। তবে তার আগে চাষীদের সঙ্গে এই প্রহসন নিয়ে রাজ্য রাজনীতি উত্তাল।