নিজস্ব প্রতিবেদন: মহারাষ্ট্রে আস্থাভোটের নির্দেশ নিয়ে উচ্ছ্বসিত শিবসেনা। বুধবার ৫টার মধ্যে মহারাষ্ট্র বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে ফডণবীস সরকারকে। এনিয়ে সরব হল শিবসেনা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-বিজেপি শেষ; আগামিকাল বিকেল পাঁচটাতেই ছবিটা স্পষ্ট হয়ে যাবে, সুপ্রিম রায় শুনে বলল এনসিপি


 শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত বলেন, সত্যের জয় হয়েছে। আদালত আস্থাভোটের জন্য ৩০ ঘণ্টা সময় দিয়েছে। কিন্তু ৩০ মিনিট সময় দিলেই আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারি।  রাজ্যপাল বিজেপিকে সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছেন। কেন দিয়েছেন বুঝতে পারছি না।  আমাদের সরকার গঠন করতে ডাকলে মাত্র ১০ মিনিটেই সংখ্যা গরিষ্ঠতার প্রমাণ দিয়ে দিতাম।



বিজেপি নেতৃত্বাধীন দেবেন্দ্র ফডণবীস সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন রাউত। শিবসেনা নেতা বলেন, বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলে রাতের অন্ধকারে শপথ নিতে হল কেন! রাজ্যে মানুষ যখন ঘুমাচ্ছেন তখন শপথ নিচ্ছেন রাজ্যর মুখ্যমন্ত্রী! নির্বাচনের সময়েই এনসিপি, কংগ্রেস ও শিবসেনাকে ভাঙার চেষ্টা করেছিল  বিজেপি। তা তখন হয়নি।  ভোটের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর সেই কাজ করতে গিয়ে প্যাঁচে পড়ে গিয়েছে।


উল্লেখ্য, বুধবার মহারাষ্ট্র বিধানসভায় আস্থা ভোট করতে হবে। মঙ্গলবার এমনই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্টের ৩ সদস্যের বেঞ্চ। সুপ্রিম কোর্ট তার রায়ে আজ জানিয়েছে, আস্থা ভোটে যাতে কোনও গোপনীয়তা না থাকে তার জন্য গোপন ব্যালটে ভোট নেওয়া যাবে না। ভোটাভুটি  সরাসরি সম্প্রচার করতে হবে। এই রায় দিল বিচারপতি এনভি রামান্না, বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি অশোক ভূষণের বেঞ্চ। সুপ্রিম কোর্ট তার রায়ে জানিয়েছে, বুধবার বিকেল পাঁচটায় বিধায়কদের শপথ গ্রহণের পরই আস্থা ভোট করাতে হবে।



আরও পড়ুন-হঠাত্ বাড়ল তাপমাত্রা, আগামী কয়েক দিনও পারদ নামার তেমন সম্ভাবনা নেই


প্রসঙ্গত, গত শনিবার আচমকাই শপথ নিয়ে নেয় বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার। মুখ্যমন্ত্রী হন দেবেন্দ্র ফডণবীস, উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ার। আচমকা ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক মহলে। এদিনই এর বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন করে শিবসেনা-কংগ্রেস-এনসিপি। সেই মামলার রায় দিল সুপ্রিম কোর্টের ৩ সদস্যের বেঞ্চ।