আমি কাশ্মীরে গিয়ে কথা বলে মিটিয়ে আসব, জঙ্গলমহল শান্ত করার নজির তুলে বার্তা মমতার
জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদে কেন্দ্রীয় সরকারের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মমতা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের সরাসরি বিরোধিতা করছেন না, কিন্তু যেভাবে তা করা হয়েছে, সেনিয়ে আপত্তি রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। হাজরা মোড়ে প্রাক স্বাধীনতা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে তা স্পষ্ট করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরকার চাইলেন, তাঁরা কাশ্মীরে যেতে পারতেন বলেও মনে করিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন মমতা বলেন, 'এটা গণতন্ত্র নয়। ৩৭০ অনুচ্ছেদ ঠিক-বেঠিক বলব না। তবে পদ্ধতিতে ভুল আছে। বন্দুক দিয়ে করা হয়েছে। অনৈতিক পদ্ধতিতে করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এটা অসাংবিধানিক। তিনজন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কোথায় আছেন? দেশের মানুষ জানে না। তাঁরা কোথায়?
আলোচনা করে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করা যেত বলেও অভিমত মমতার। তাঁর কথায়,'আলোচনা করে শান্তির কাজ হয়।' এর পাশাপাশি এক সময়ের অশান্ত জঙ্গলমহলকে কীভাবে শান্তির রাস্তায় ফিরিয়ে এনেছেন, সে কথাও মনে করিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, 'জঙ্গলমহল শান্ত করে দিইনি! কটা লাশ ফেলতে হয়েছে, কটা বন্দুক লেগেছে, কটা খুন করতে হয়েছে! ২০১১ সালের আগে ৬০০-৭০০ জন মারা যেত। গত ৮ বছরে সেখানে একটাও খুন হয়নি।'
দরকারে তিনি কাশ্মীরে যেতে রাজি ছিলেন বলেও জানান মমতা। তাঁর কথায়,'আমি গিয়ে কাশ্মীর থেকে ঘুরে আসব। কথা বলে মিটিয়ে আসব। শান্তিপূর্ণভাবে করা যেত। সেটা না করে গায়ের জোরে করা হল।'
বিরোধীদের অন্ধকারে রেখে অনুচ্ছেদ ৩৭০ প্রত্যাহার করা হয়েছে বলেও দাবি মমতার। বলেন,'কোনও বিল স্ক্রুটিনি হইনি। সাপ না কেউটে আছে দেখতে হবে। কাগজ দেবেন, না পড়ে সই করে দেব। অন্ধকারে রেখে করে দিলেন।'
প্রসঙ্গত, জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের পর প্রথম প্রতিক্রিয়ায় মমতা বলেছিলেন, 'সব দলের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত ছিল। কথা বলা উচিত ছিল স্থানীয়দের সঙ্গে। দরকারে কাশ্মীরে যেতাম। মানুষকে সঙ্গে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতাম। স্থায়ী সমাধানের ব্যবস্থা করা যেত। বিলের বিষয় নিয়ে আপত্তি নেই।'
আরও পড়ুন- দখল করে রাখা কংগ্রেসের পার্টি অফিস ফেরত দিন, 'দিদিকে বলো'তে আবেদন সোমেনের