Manipur Violence: বিভীষিকার মণিপুর! এবার ঘরে ঢুকে ২ বোনকে গণধর্ষণ করে খুন...
Manipur Kuki Metei Ethnic Clash: নির্যাতিতার বাবার অভিযোগ, এই ঘটনা জানার পর তিনি বিস্তারিত জানিয়ে পুলিসে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। কিন্তু পুলিস নিষ্ক্রিয় থেকেছে। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকেই গ্রেফতার করা হয়নি।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো : একের পর এক ঘটনা। যত সামনে আসছে, ততই মণিপুর ক্রমশ দেশের মাথা হেঁট করে দিচ্ছে। মণিপুরের ২ মহিলাকে গণধর্ষণের পর জোর করে নগ্ন রাস্তায় হাঁটানোর পর এবার সামনে এল আরও এক ভয়ংকর অভিযোগ। ঘরে ঢুকে ২ বোনকে গণঘর্ষণের পর খুনের অভিযোগ এবার ইম্ফলে। নির্যাতিতাদের বাবার অভিযোগ, ৪ মে একইদিনে এই ঘটনাটিও ঘটে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত, ঘটনার ৭৯ দিন পরেও এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিস।
অভিযোগকারী বাবা জানিয়েছেন, তদন্তের স্বার্থে এখনও মেয়েদের দেহ সংরক্ষণ করে রেখেছেন তিনি। এই দুই যুবতীও কুকি সম্প্রদায়ের বলে জানা গিয়েছে। ইম্ফলের এই ঘটনাতেও অভিযোগ উঠেছে মেইতেইদের বিরুদ্ধে। নিহত দুই তরুণীর বাবা জানিয়েছেন, ইম্ফলে ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতেন ২ বোন। বয়স ২১ এবং ২৪ বছর। ৪ মে দরজা ভেঙে তাঁদের ঘরে ঢুকে পড়ে দুষ্কৃতীদল। তারপর শুরু হয় তাণ্ডবলীলা। নারকীয় অত্যাচার করা হয় তাঁর মেয়েদের উপর। গণধর্ষণ করা হয় ২ বোনকে। গণধর্ষণের শেষে খুন করা হয় দুজনকেই।
নির্যাতিতার বাবার আরও অভিযোগ, এই ঘটনা জানার পর তিনি বিস্তারিত জানিয়ে পুলিসে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। কিন্তু পুলিস নিষ্ক্রিয় থেকেছে। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকেই গ্রেফতার করা হয়নি। প্রসঙ্গত, মণিপুরে ২ মহিলাকে গণধর্ষণের পর জোর করে নগ্ন হাঁটানোর ভিডিয়ো সামনে আসতেই প্রতিবাদে উত্তাল দেশ। ওই ঘটনায় পঞ্চম অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। ধৃতের বয়স মাত্র ১৯! ধৃতের নাম নাংসিথোই মেতেই। ভাইরাল ভিডিয়োকাণ্ডে তোলপাড় শুরু হতেই এই নিয়ে মোট ৫ জনকে গ্রেফতার করল পুলিস।
ওদিকে, মণিপুরের বিষ্ণুপুর জেলার এক লোকালয়ে একটি বাড়ির বাঁশের বেড়ার মাথায় উদ্ধার হয়েছে একটি কাটা মুণ্ডু। বাঁশের বেড়ার মাথায় টাঙানো ছিল কাটা মুণ্ডুটি। ঘটনার বীভত্সতা ও নৃশংসতা চমকে দিয়েছে সবাইকে। এই ভিডিয়োটিও ভাইরাল। এই দৃশ্য দেখে শিউরে উঠছে সবাই। যে-ব্যক্তির কাটা মুণ্ড পাওয়া গিয়েছে, তাঁকে শনাক্তও করা গিয়েছে। তাঁর নাম ডেভিড থিক। তিনিও কুকি সম্প্রদায়-ভুক্ত। ২ জুলাই সংঘর্ষের সময় নিহত হন তিনি।
প্রসঙ্গত, সংরক্ষণের দাবিতে আজকে প্রায় ৩ মাস ধরে মেইতেই ও কুকিদের মধ্যে জাতি হিংসার কারণে উত্তপ্ত মণিপুর। সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছেন মেইতেইরা। মেইতেইরা মণিপুরের সবচেয়ে বড় জনগোষ্ঠী। মোট জনসংখ্যার ৫৩ শতাংশ মেইতেই। মূলত ইম্ফল উপত্যকায় বাস মেইতেইদের। ওদিকে কুকি ও জো সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষরা থাকেন পাহাড়ি অঞ্চলে। মেইতেইদের সংরক্ষণের অধিকার দাবির বিরোধিতা করেছে কুকিরা। এই নিয়ে গত ৩ মে প্রথম সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তারপর থেকেই অশান্তির আঁচে পুড়ছে মণিপুর।
আরও পড়ুন, Manipur Violence: 'দেশ বাঁচিয়েছি, কিন্তু স্ত্রীকেই ধর্ষণের হাত থেকে বাঁচাতে পারলাম না'!