শেষ পঞ্চদশ লোকসভার অধিবেশন, জাতীয় স্বার্থে কাজ করার ওপর জোর প্রধানমন্ত্রীর
শেষ হল পঞ্চদশ লোকসভার অধিবেশন। সংসদে বিদায়ী ভাষণে দল-মতের উর্ধ্বে উঠে জাতীয় স্বার্থে কাজ করার ওপর জোর দিলেন প্রধানমন্ত্রী। রোজকার কাদা ছোঁড়াছুঁড়ির বদলে পারস্পরিক সৌহার্দ্যের সুর শোনা গেল সরকার ও বিরোধী দলের সাংসদদের গলায়।
শেষ হল পঞ্চদশ লোকসভার অধিবেশন। সংসদে বিদায়ী ভাষণে দল-মতের উর্ধ্বে উঠে জাতীয় স্বার্থে কাজ করার ওপর জোর দিলেন প্রধানমন্ত্রী। রোজকার কাদা ছোঁড়াছুঁড়ির বদলে পারস্পরিক সৌহার্দ্যের সুর শোনা গেল সরকার ও বিরোধী দলের সাংসদদের গলায়।
নানা ঘটনাপ্রবাহের সাক্ষী রইল পঞ্চদশ লোকসভা। সরকারের সঙ্গে বিরোধীদের সংঘাতে গত পাঁচ বছরে লোকসভায় কাজ হয়েছে সবচেয়ে কম, মাত্র ১৩২৯ ঘণ্টা। টুজি-কাণ্ডে অচল হয়েছে প্রায় গোটা অধিবেশন। মরিচ-কাণ্ডে মাথা নত হয়েছে ভারতীয় গণতন্ত্রের। এই পঞ্চদশ লোকসভাতেই আবার পাশ হয়েছে লোকপাল, জমি অধিগ্রহণ, তেলেঙ্গানা বিল। শেষ অধিবেশনের শেষ দিনে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে উঠে এল ভারতীয় সংসদের গরিমার কথা। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে সংসদে আর কখনও ভাষণ দেবেন না মনমোহন সিং। শেষদিনে লোকসভায় উপস্থিত ছিলেন তাঁর স্ত্রী গুরশরণ কৌর।
কেউ হয়ত আর ভোটে দাঁড়াবেন না। কেউ হয়ত আবার জিতে আসতে পারবেন না। হয়ত আর দেখা হবে না সংসদের অলিন্দে। লোকসভার অধিবেশনের শেষ দিনে সরকার-বিরোধী দুপক্ষের গলাতেই শোনা গেল একে অন্যের প্রতি বিরল প্রশংসা। অধিবেশনের শেষ দিনে সদস্যদের অকুণ্ঠ প্রশংসা পেলেন লোকসভার স্পিকার।
১৩ দিনের বর্ধিত শীতকালীন অধিবেশনে শুক্রবারই প্রথম সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হল প্রশ্নোত্তরপর্ব। প্রতিদিনের তরজা ছেড়ে চোখে পড়ল সরকার-বিরোধীদের সৌহার্দ্যের বিরল ছবি। পঞ্চদশ লোকসভার শেষ দিন দেখিয়ে গেল কতটা গভীরে ভারতীয় গণতন্ত্রের শিকড়।