কেদারভূমিতে জ্বলে উঠল গণচিতা
আবহাওয়ার সামান্য উন্নতির সঙ্গে প্রাকৃতিক রোষে প্রাণ হারানো দেহগুলির পঞ্চত্তর কাজ শুরু হল কেদারধামে। বিপর্যয়ের ১১ দিন পরেও দেবভূমিতে উদ্ধারের অপেক্ষায় ৩,৫০০। বদ্রীনাথ ও হারশিল সেক্টর থেকে আকাশ ও সড়ক পথে ১,০০০ জন পূণ্যার্থীকে নিচে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। বায়ুসেনার চপার দূর্ঘটনার পর উদ্ধারকার্যে নিযুক্ত সেনাকর্মীদের মনবল ফেরানো একটা বড় চ্যালেঞ্জ। ভারতীয় বায়ুসেনার প্রধান ন্যাক ব্রাউন বুধবার সেই কাজটাই করার চেষ্টা করেন। প্রশাসনিক আধিকারিক রবিনাথ রমন সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, "খারাপ আবহাওয়ার জন্য গণদাহ কাজ বন্ধ রাখা হয়েছিল, কিন্তু পরে কেদারনাথে তা শুরু হয়েছে।" তবে এই গণচিতায় দাহ হওয়া দেহের সংখ্যা ঠিক কত, তা হলফ করে কেউই বলতে পারেননি।
আবহাওয়ার সামান্য উন্নতির সঙ্গে প্রাকৃতিক রোষে প্রাণ হারানো দেহগুলির পঞ্চত্তর কাজ শুরু হল কেদারধামে। বিপর্যয়ের ১১ দিন পরেও দেবভূমিতে উদ্ধারের অপেক্ষায় ৩,৫০০। বদ্রীনাথ ও হারশিল সেক্টর থেকে আকাশ ও সড়ক পথে ১,০০০ জন পূণ্যার্থীকে নিচে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। বায়ুসেনার চপার দূর্ঘটনার পর উদ্ধারকার্যে নিযুক্ত সেনাকর্মীদের মনবল ফেরানো একটা বড় চ্যালেঞ্জ। ভারতীয় বায়ুসেনার প্রধান ন্যাক ব্রাউন বুধবার সেই কাজটাই করার চেষ্টা করেন। প্রশাসনিক আধিকারিক রবিনাথ রমন সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, "খারাপ আবহাওয়ার জন্য গণদাহ কাজ বন্ধ রাখা হয়েছিল, কিন্তু পরে কেদারনাথে তা শুরু হয়েছে।" তবে এই গণচিতায় দাহ হওয়া দেহের সংখ্যা ঠিক কত, তা হলফ করে কেউই বলতে পারেননি।
জলে ধোয়া পাহাড়ে জ্বলন্ত ছবিটা যখন এমন, তখনও নিচে অপেক্ষা করছেন বহু মানুষ। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত। প্রায় সবকটি শহর থেকে মানুষ ভির করেছে বিমানবন্দরে। হাতে প্রিয়জনের ছবি। মাঝে মাঝে ডুকরে ডুকরে কান্না। শেষ আশাটা ছাড়তে চাইছেন না কেউই। সেনা হেলিকপ্টারগুলো মাটি ছুঁতেই, ছুটে যাচ্ছেন ওঁরা। কেউ ফিরছেন হাসি মুখে। প্রিয়জনকে ফিরে পাওয়ার খুশি। আবার কেউ কেউ হতাশ হয়ে ফিরছেন পরের উড়ান ফেরার অপেক্ষায়।
বুধবার জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর চেয়ারম্যান শশীধর রেড্ডি জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত উত্তরাখণ্ডে বন্যায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫৬০ জন। তবে এই সংখ্যা আরও খানিকটা বাড়ার আশঙ্কা করছে এনডিএমএও। ধ্বংসস্তুপে আটকে বহু মানুষ। আশঙ্কা, তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ এখনও জীবিত। রেড্ডির দাবি, নিখোঁজের সংখ্যাটা ৩৪৪এর বেশি নয়। তিনি বলেন, "আগামী দু`দিনের মধ্যে আমরা উদ্ধারকার্য শেষ করে ফেলব।"
প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিধ্বস্ত উত্তরাখণ্ডের বিভিন্ন এলাকায় আজও ভারী বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির জেরে নতুন করে ধস নামতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন উদ্ধারকারীরা। তবে, আবহাওয়া খারাপ থাকলেও দুর্গত মানুষদের উদ্ধারের জন্য সবরকম চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হবে বলে বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৯০ হাজারের বেশি মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে।