বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করছে না প্রশাসন, ক্ষোভে গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিল পরিযায়ী শ্রমিকরা
দেশ জুড়ে লকডাউনের মধ্যেও কর্মহারা শ্রমিকদের হিংসাত্মক প্রতিবাদ শুরু হল।
নিজস্ব প্রতিবেদন— একে তো আটকে রয়েছেন ভিন রাজ্যে। তার মধ্যে যে মালিকদের হয়ে সারা বছর ঘাম ঝড়িয়ে কাজ করেনে তাঁরাই এই চরম দুঃসময় তাঁদের দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করছে। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার হঠাত্ করে দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করে দিয়েছে। পরিযায়ী শ্রমিকরা কী করে বাড়ি ফিরবে, তা নিয়ে কারও কোনও মাথাব্যথা ছিল না। এখনও তাঁদের কথা ভাবছে না প্রশাসন। আনাহারে, প্রিয়জনদের থেকে দূরে এক—একটা দিন কাটাতে দুর্বিষহ যন্ত্রণা ভোগ করতে হচ্ছে তাঁদের। তার উপর আবার লকডাউনের মেয়াদ বাড়ার ইঙ্গিত চারপাশে। এমন পরিস্থিতিতে পরিযায়ী শ্রমিকদের মেজাজ হারানোটাই স্বাভাবিক। দুর্দিনে ভিন রাজ্যে থাকা শ্রমিকদের বিপদ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন। হাজার হাজার কিমি রাস্তা তাঁদের হেঁটে বাড়ি ফিরতে হয়েছে। তাই ক্ষোভের বিস্ফোরণ তো স্বাভাবিক!
দেশ জুড়ে লকডাউনের মধ্যেও কর্মহারা শ্রমিকদের হিংসার প্রতিবাদ শুরু হল। গুজরাতের সুরাটে ভিন রাজ্য থেকে কাজ করতে আসা শতাধিক শ্রমিক প্রতিবাদ শুরু করেছেন শুক্রবার রাত থেকেই। বহু গাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। অভিযোগ এমনই। যেভাবেই হোক তাঁদের নিজের রাজ্যে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হোক। শ্রমিকদের দাবি এমনই। এমনকী এই দুঃসময়ে বকেয়া পাওনা মেটায়নি মালিকরা। শ্রমিকরা এমন অভিযোগও করেছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, লকডাউনের কারণে নিজেদের রাজ্যে ফিরে যেতে চায় শ্রমিকরা। গত কয়েকদিন ধরেই তাঁরা সেই দাবিতে অনড়। কিন্তু প্রশাসন তাঁদের কথা শুনছে না। তাই এবার রাস্তায় নেমে হাতে টানা ভ্যান জ্বালিয়ে দিয়েছে তারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হলেও বেশ কয়েক জন শ্রমিককে আটক করেছে পুলিশ।
আরে পড়ুন— করোনার বিরুদ্ধে লড়ছে গোটা বিশ্ব, তারমধ্যেও ভারতের ওপর হামলা চালাল পাকিস্তান
এক প্রবীণ স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার গুজরাতে নতুন করে ১১৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১০০ জন। শুক্রবার রাতে সংঘর্ষের ঘটনা চলাকালীন আরও দুজন করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়। বর্তমানে নরেন্দ্র মোদীর রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯।