ওয়েব ডেস্ক: রাজ্যের একাধিক প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দের দাবি নিয়ে আজ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্ত বৈঠকে বসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ তাঁর বাসভবনে দেখা করতে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের উন্নয়নের স্বার্থে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের স্বার্থ বজায় রাখতে একগুচ্ছ বিষয় বিবেচনার অনুরোধ করছেন তিনি। এক ঝলকে দেখে নেব রাজ্যের দাবি-দাওয়া অনুরোধগুলি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এমনিতেই ঋণ শোধ করতে বছরে চল্লিশ হাজার কোটি টাকা চলে যাচ্ছে রাজ্যের। তার উপরে বেশ কিছু প্রকল্পে টাকা বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র। অনেক প্রকল্পে কমেছে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ। বাধ্য হয়েই নিজস্ব কোষাগারের টাকা খরচ করে প্রকল্প চালাতে হচ্ছে রাজ্যকে। এই পরিস্থিতিতেই দিল্লির দরবারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


কোন কোন প্রকল্পে বরাদ্দ বন্ধ?


৩৯টি প্রকল্পে আর্থিক সাহায্য পুরোপরি বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র। যার মধ্যে রয়েছে-


  • মাওবাদী প্রভাবিত এলাকার উন্নয়নের মত বিষয়ও।

  • বন্ধ হয়েছে পিছিয়ে পড়া এলাকার জন্য বাকওয়ার্ড রিজিয়ন গ্রান্ট ফান্ড, পাহাড়ের জন্য বিশেষ কেন্দ্রীয় সাহায্যের টাকা।

  • ৬ হাজার মডেল স্কুল তৈরি

  • ন্যাশনাল ই-গভর্নেন্স অ্যাকশন প্ল্যান

  • পুলিস বাহিনীর আধুনিকীররণ

  • রাজীব গান্ধী পঞ্চায়েত সশক্তিকরণ অভিযানের টাকা বন্ধ করেছে কেন্দ্র।

  • রাজ্যের রফতানি পরিকাঠামো তৈরি সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে টাকা বন্ধ করেছে দিল্লি।

  • খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের ন্যাশনাল মিশন এবং পর্যটন পরিকাঠামোর ক্ষেত্রেও কেন্দ্রের আর্থিক বরাদ্দ বন্ধ হয়ে গেছে।


এর পাশাপাশি একের পর এক প্রকল্পে কমে গেছে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ। মোট ৫৮টি প্রকল্পে রবাদ্দ কমিয়েছে কেন্দ্র। যার মধ্যে রয়েছে-


খাদ্য সুরক্ষা মিশন, সর্বশিক্ষা মিশন, মিডডে মিলের মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। টাকা কমেছে রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ যোজনা, গ্রামীন পানীয় জল প্রকল্প, জাতীয় জীবিকা মিশনের। পূর্ব ভারতে সবুজ বিপ্লব আনার জন্য যে প্রকল্প এনেছিল কেন্দ্র তাঁর টাকাও কমিয়ে দিয়েছে দিল্লি।


শুধুমাত্র খাদ্যসুরক্ষা মিশনেই কেন্দ্রের কাছে খাদ্য দফতরের ষোলশ কোটি টাকা বকেয়া ছিল। এছাড়াও, সেন্ট্রাল সেলস ট্যাক্সের হার ৪ থেকে ২% হওয়ায় রাজ্যগুলিকে ক্ষতিপূরণ দেবে বলেছিল কেন্দ্র। তবে তা এখনও হয়নি।
২০১১-১২ থেকে ২০১৫-১৬ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে ৬হাজার ৫০০ কোটির রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে। সে টাকা এখনও দেয়নি কেন্দ্র।


এই অবস্থায় বারবার এই বকেয়া টাকা চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছে রাজ্য। নোটবন্দির প্রভাবও পড়েছে রাজ্যের কোষাগারে। তাই রাজ্যের উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রের সাহায্য, সহযোগিতা চাই-ই চাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের। (আরও পড়ুন- বড় মাপের দুর্নীতি ধরা পড়ল স্টেট ব্যাঙ্কের বরেইলি শাখায়)