জন্মদিনে অনুষ্ঠান না চাইলেও সবরমতীর তীরে চিনা প্রেসিডেন্টের সম্মানে বর্ণাঢ্য আয়োজন করলেন মোদী
জন্মদিনে কোনও অনুষ্ঠান চান না। সবাইকেই এই বার্তা আগেভাগে দিয়ে রেখেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু তাঁরই জন্মদিনে চিনের প্রেসিডেন্টের সম্মানে জমকালো অনুষ্ঠান হল। সবরমতী নদীর পাড়ে। এমন বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান কোনও বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানের জন্য আগে হয়েছে বলে মনে করতে পারছেন না অনেকেই।
সীমান্ত ইস্যু সহ একাধিক বিষয়ে যখন ভারত-চিন দুদেশের সম্পর্কে চূড়ান্ত টানাপোড়েন, সেইসময়েই ভারত সফরে এসেছেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং। তবে বুধবার চিনা প্রেসিডেন্টের ভারত সফরের প্রথম দিনে উত্তেজনার লেশমাত্র নজরে আসেনি। বরং যা নজরে এসেছে তা এযাবত্কালে কোনও রাষ্ট্রপ্রধানের সফরকালে দেখা যায়নি।
চিনের প্রেসিডেন্টের ভারত সফর শুরু হয়েছে গুজরাত থেকে। প্রথম গন্তব্য ছিল সবরমতী আশ্রম। মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি ঘুরে দেখেন আশ্রম। দেখলেন চরকা কাটা। শুনলেন রঘুপতি রাঘব রাজা রাম গানও। মহাত্মা গান্ধীর জীবনসম্পর্কিত বেশ কয়েকটি বই উপহার দেওয়া হয় শি জিংপিংকে। আশ্রম থেকেই সংলগ্ন পার্কে পা রাখেন দুই নেতা। সেখানে তখন রঙের সমাহার। মাঠজুড়ে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন । কোথাও গান, কোথাও নাচ...
এর ফাঁকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে খোশমেজাজে দোলনায় দুলতে দেখা গেল চিনা প্রেসিডেন্টকে। খানিকক্ষণ বাদে চিনের ফার্স্ট লেডি পেং লিউয়ানকেও দেখা গেল দোলনায়। সবরমতীর তীরে সূর্যাস্তের সাক্ষী হলেন দু-জন। এলাহী আয়োজনের এখানেই শেষ নয়। রাতে চিনা প্রেসিডেন্টের সম্মানে আয়োজিত হয়েছিল প্রাইভেট ডিনার। মেনুতে ছিল একশো পঞ্চাশ রকমের গুজরাটি পদ। মুম্বই, দিল্লি থেকে এজন্য স্পেশাল শেফ-দের গুজরাটে নিয়ে আসা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত রাঁধুনি বদ্রী, যিনি গত পনের বছর ধরে তাঁর সঙ্গে রয়েছেন, তিনিই ছিলেন এই গোটা রাজকীয় রান্না-পর্ব দেখভালের দায়িত্বে।