মমতার শপথ উস্কে দিল ফেডারেল ফ্রন্টের সম্ভাবনা, উড়িয়ে দিলেন জেটলি
জেটলি, বাবুল, নীতিশ, লালু, ফারুখ, কেজরিওয়াল, অখিলেশ। দিদির দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুর মুহূর্তে উপস্থিত ছিলেন সবাই। জাতীয় রাজনীতিতে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাসঙ্গিকতাকে আরও বেশি মাত্রায় তুলে ধরতে শপথ অনুষ্ঠানকেই বেছে নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর আমন্ত্রিত অতিথিদের কথাতেও যেন পাওয়া গেল সেই ছোঁয়া। আরও একবার উস্কে উঠল ফেডারেল ফ্রন্টের সম্ভাবনা। তবে এসব ফ্রন্টকে আবার আমল দিতে নারাজ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জেটলি।
ওয়েব ডেস্ক : জেটলি, বাবুল, নীতিশ, লালু, ফারুখ, কেজরিওয়াল, অখিলেশ। দিদির দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুর মুহূর্তে উপস্থিত ছিলেন সবাই। জাতীয় রাজনীতিতে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাসঙ্গিকতাকে আরও বেশি মাত্রায় তুলে ধরতে শপথ অনুষ্ঠানকেই বেছে নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর আমন্ত্রিত অতিথিদের কথাতেও যেন পাওয়া গেল সেই ছোঁয়া। আরও একবার উস্কে উঠল ফেডারেল ফ্রন্টের সম্ভাবনা। তবে এসব ফ্রন্টকে আবার আমল দিতে নারাজ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জেটলি।
শপথ শেষে মুখ্যমন্ত্রী বললেন মানুষের জন্য কাজ করতে চান। কেউ চাইলে সাহায্যেও প্রস্তুত তিনি। রেডরোডের শপথ অনুষ্ঠানে এসে ফের জাতীয় রাজনীতিতে বিকল্প জোটের প্রসঙ্গ উস্কে দিলেন ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লা। বললেন জাতীয় রাজনীতিতে ফ্লন্ট গড়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। কেন্দ্রে বিকল্প ফ্রন্টের সম্ভাবনার কথা তুললেন লালু প্রসাদ যাদবও। আরএসএস-বিজেপিকে রুখতে ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলির এক হওয়ার কথা বলেন আরজেডি সুপ্রিমো।
যার প্রতিক্রিয়ায় জেটলি বলেন, যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে আগেও মুখ থুবড়ে পড়েছে ফেডারেল ফ্রন্ট। এটি পরীক্ষিত এবং বিফল চেষ্টা। একইসঙ্গে তিনি বলেন, কোনও দলের সঙ্গে কোনও দলের বিরোধিতা থাকবেই। কিন্তু সরকারের সঙ্গে সরকারের সম্পর্ক সাংবিধানিক। সেখানে কোনও বিরোধিতা থাকতে পারে না। কোনও রাজনৈতিক রং না দেখে কেন্দ্র রাজ্যকে সবরকম সাহায্য করবে।
অন্যদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান বয়কট করেছে কংগ্রেস। রেড রোডের অনুষ্ঠানে ছিলেন না AICC-র কোনও প্রতিনিধিই। তবে টুইটারের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুভেচ্ছা জানালেন রাহুল গান্ধী। তিনি লিখেছেন, "মমতাজিকে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য শুভেচ্ছা। তিনি ও তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যদের আগামী দিনের জন্য শুভেচ্ছা রইল।"