জোটে থাকবে এনসিপি, মন্ত্রিসভা নিয়ে সিদ্ধান্ত কাল

ইউপিএ সরকারে দলের ভূমিকা সম্পর্কে রাজনৈতিক মহলে সংশয় জিইয়ে রাখলেন শরদ গোবিন্দরাও পাওয়ার। কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক নির্ধারণ নিয়ে এনসিপি নেতৃত্বের আলোচনার পর এদিন মিডিয়ার মুখোমুখি হয়ে পাওয়ারের বিশ্বস্ত সহযোগী প্রফুল প্যাটেল জানালেন, তাঁরা ইউপিএ তে ভাঙন চান না, আগামী ২০১৪ সাল পর্যন্ত জোটেই থাকবে এনসিপি।

Updated By: Jul 23, 2012, 04:33 PM IST

ইউপিএ সরকারে দলের ভূমিকা সম্পর্কে রাজনৈতিক মহলে সংশয় জিইয়ে রাখলেন শরদ গোবিন্দরাও পাওয়ার। মনমোহন মন্ত্রিসভার `নাম্বার টু` আসন নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে মন কষাকষির মধ্যেই আজ বৈঠকে বসে এনসিপি নেতৃত্ব। ইউপিএ-তে জোট শরিক হিসেবে এনসিপি ভবিষ্যতে কী ভূমিকা নেবে, তা নিয়ে আলোচনার পর মিডিয়ার মুখোমুখি হয়ে পাওয়ারের বিশ্বস্ত সহযোগী তথা কেন্দ্রীয় ভারী শিল্প ও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিষয়ক মন্ত্রী প্রফুল প্যাটেল জানান, তাঁরা ইউপিএ তে ভাঙন চান না, আগামী ২০১৪ সাল পর্যন্ত দিল্লি ও মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বজার রাখবে এনসিপি।
তবে কি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় থেকে যাবেন মারাঠা স্ট্রংম্যান আর তাঁর দলীয় সতীর্থরা? প্রফুল প্যাটেল জানিয়েছেন, মঙ্গলবার এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
অন্যদিকে এদিনই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন এনসিপি নেত্রী অগাথা সাংমা। একটি সূত্র জানাচ্ছে, কংগ্রেসের উপর চাপ বাড়িয়ে নিজের মেয়ে সুপ্রিয়া সুলেকে কেন্দ্রে প্রতিমন্ত্রী করতে চান পাওয়ার। আজ সকালে নব-নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে, তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এনসিপি নেতারা। তাঁদের মধ্যে শরদ পাওয়ারও ছিলেন। তবে বিদায়ী রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাতিলের সম্মানে প্রধানমন্ত্রীর ডাকা ভোজসভায় যোগ দিচ্ছেন না পাওয়ার।
দিল্লি ও মহারাষ্ট্র, দু-জায়গাতেই কংগ্রেস শাসিত সরকারের শরিক এনসিপি। তবে, রাজ্যই হোক বা কেন্দ্র, কংগ্রেসের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ দলীয় নেতা শরদ পওয়ার। প্রণব মুখোপাধ্যায়ের অনুপস্থিতিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় তাঁকে দু-নম্বর জায়গা ছাড়তে নারাজ কংগ্রেস। কেন্দ্রে সরকার থেকে এনসিপি বেড়িয়ে গেলে তার প্রভাব পড়বে মহারাষ্ট্রের রাজ্য রাজনীতির সমীকরণেও। সেক্ষেত্রে সঙ্কটে পড়তে পারে মহারাষ্ট্রে ক্ষমতায় থাকা কংগ্রেস-এনসিপি জোট সরকারও।

দুর্নীতি-সহ নানা অভিযোগে জেরবার মহারাষ্ট্রে এনসিপি-র মন্ত্রীরা। কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ চৌহান নিজে এনসিপির হাতে থাকা সেচ মন্ত্রকের দুর্নীতি তুলে ধরতে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছেন। সব মিলিয়ে রীতিমতো চটে রয়েছেন মারাঠা স্ট্রংম্যান। প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে বেরিয়ে আসতে চান বলে জানিয়েছেন তিনি। মন্ত্রিসভা থেকে শরদ পাওয়ার ও প্রফুল প্যাটেলের ইস্তফা নিয়েও জল্পনা তৈরি হয় রাজনৈতিক মহলে। 
এর পরই পাওয়ারকে তুষ্ট করতে তাঁকে মূল্যবান জোটসঙ্গী বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। যদিও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ আসন পাওয়ার পাবেন কিনা, সেবিষয়ে এখনও কিছু নিশ্চিত করেনি কংগ্রেস। এনসিপির আশা, তাদের প্রধান দাবিগুলির দিকে নজর দেবে কংগ্রেস।

.