নিজস্ব প্রতিবেদন: কেরল ও পাঞ্জাবের ২টি চার্চের পাদ্রীদের বিরুদ্ধে ওঠা ধর্ষণের অভি‌যোগ সম্পর্কে তাদের রিপোর্ট পেশ করল জাতীয় মহিলা কমিশন। এবছর জুন মাসে ওই ধর্ষণের কথা প্রকাশ্যে চলে আসে। তার পর থেকেই তোলপাড় কেরল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জাতীয় মহিলা কমিশন তাদের রিপোর্টে দুটি অভি‌যোগের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাকে দিয়ে তদন্তের সুপারিশ করেছে। পাশাপাশি আরও একটি বিষয় নিয়ে সুপারিশ করেছে মহিলা কমিশন। এটি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হতে পারে। সুপারিশে বলা হয়েছে চার্চে কনফেশন বা কৃতকর্মের ‘স্বীকারোক্তি’-র মতো প্রথা তুলে দেওয়া হোক। কারণ এটি মহিলাদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। সংবাদ মাধ্যমে গোটা বিষয়টি জানিয়েছেন কমিশনের চোয়ারম্যান রেখা শর্মা।


অারও পড়ুন-আজ রাতে ঢাকা পড়বে চাঁদ, কখন, কীভাবে দেখবেন চন্দ্রগ্রহণ?


উল্লেখ্য, এ বছর জুন মাসে কেরলের একটি ও পাঞ্জাবের একটি ‌চার্চে যৌন নি‌র্যাতনের ঘটনা ঘটে। দুটি ক্ষেত্রেই অভি‌যোগ ওঠে চার্চের বিশপদের বিরুদ্ধে। প্রথম ঘটনাটি হল মালানকারা সিরিয়ান অর্থোডক্স চার্চের। দ্বিতীয়টি জলন্ধরের। দুটি ক্ষেত্রেই বিশপদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভি‌যোগ ওঠে। রেখা শর্মা এক সর্বভারতীয় দৈনিককে জানিয়েছেন, কোনও কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাকে দিয়ে ওই দুটি ঘটনার তদন্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে। কারণ ওই ধরনের ঘটনা কেরলে বাড়ছে। কোনও তদন্ত সংস্থাই এই কাজ ভালোভাবে করতে পারে। তারাই একমাত্র বলতে পারে আরও কতগুলি চার্চ ওই ধরনের ঘটনায় জড়িত।


মহিলা কমিশন নি‌র্যাতিতাদের সঙ্গে কথা বলে তার রিপোর্ট পেশ করেছে। ওই রিপোর্ট পাঠানো হচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, কেরল ও পাঞ্জাব সরকারকে। কেরলের মালানকারা অর্থোডক্স চার্চের ঘটনায় নি‌র্যাতিতার স্বামী পুরো ঘটনাটি তাঁর এক বন্ধুকে ফোনে বলেন। তিনিও সেই অডিও ক্লিপ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেন।


ঘটনাটি প্রকাশ্যে এসে ‌যাওয়ার পরও চার্চ কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় পুলিসে একটি অভি‌যোগ জমা পড়ে। তারপরেই তদন্তে নামে পুলিস। অন্যদিকে, জলন্ধরের নি‌র্যাতিতা পুলিসে একটি অভি‌যোগ দায়ের করেন। কোনে বলা হয়, চার্চের বিশপ ২০১৪-২০১৬ সালের মধ্যে একাধিকবার তাঁকে ধর্ষণ করেছেন। প্রসঙ্গত, কনফেশন বা স্বীকারোক্তির সময়ে বলা গোপন তথ্যকে হাতিয়ার করেই ব্ল্যাকমেইল করা হত মহিলাদের।


আরও পড়ুন-স্যানিটারি ন্যাপকিনের দাম কমতে পারে ১.৫-২.৫%


রেখা শর্মার দাবি, কনফেশনের প্রথা মহিলাদের ওপরে ‌যৌন নি‌র্যাতনের একটা হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে। শুধু তাই নয়, পুরুষদেরও টাকার জন্য ব্ল্যাকমেইল করতে পারেন বিশপরা। কোনও ধর্মীয় প্রথা ‌যদি কোনও মহিলার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বিপজ্জনক হয়ে ওঠে মহিলা কমিশন এর থেকে রেহাই পেয়ে চাইবে। এক্ষেত্রে মহিলাদের পুরুষদের সামনে স্বীকারোক্তি দেওয়া বন্ধ করা উচিত।