স্যানিটারি ন্যাপকিনের দাম কমতে পারে ১.৫-২.৫%

এফআইএইচএ-এর দাবি, ভারতে উত্পাদিত স্যানিটারি ন্যাপকিন শিল্পকে ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট দেওয়া হলে পণ্যের দাম কমিয়ে তারাও এই সিদ্ধান্তের সুফল সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে পৌঁছে দিতে পারত। সংশ্লিষ্ট মহল সূত্রে খবর, স্যানিটারি ন্যাপকিনের উপর ১২ শতাংশ জিএসটি এবং ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট দুটিই লাগু থাকা কালীন ক্রেতাকে যা দাম দিতে হত তার তুলনায় জিএসটি ও ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট হীন ব্যবস্থায় ক্রেতার প্রদেয় কর কমেছে মাত্র ১.২ শতাংশ।

Updated By: Jul 27, 2018, 12:09 PM IST
স্যানিটারি ন্যাপকিনের দাম কমতে পারে ১.৫-২.৫%

নিজস্ব প্রতিবেদন: স্যানিটারি ন্যাপকিনকে জিএসটি-র আওতা থেকে বাদ দেওয়া হলেও দাম তেমন কমবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। দেশ জুড়ে পণ্য ও পরিষেবা কর লাগু হওয়ার পর থেকে স্যানিটারি ন্যাপকিনের উপর ১২ শতাংশ হারে কর নেওয়া হচ্ছিল। স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নতার সঙ্গে যুক্ত এমন একটা অত্যাবশ্যকীয় ব্যবহার্য পণ্যের উপর কর বসানোর এই কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তকে ঘিরে বিভিন্ন মহল থেকে প্রতিবাদ উঠে আসে। এরপর জিএসটি কাউন্সিল স্যানিটারি ন্যাপকিনকে জিএসটি তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু, কেন্দ্র 'ফেমিনাইন অ্যান্ড ইনফ্যান্ট হাইজিন অ্যাসোসিয়েশন' (এফআইএইচএ)-কে 'ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট' না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে, স্যানিটারি ন্যাপকিন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত বড় প্রতিষ্ঠানগুলি মনে করছে, ১২ শতাংশ দাম কমানোর কোনও সম্ভবনাই নেই। বরং তাদের দাবি, ১.৫ থেকে ২.৫ শতাংশ পর্যন্ত দাম কমতে পারে স্যানিটারি ন্যাপকিনের।

টাইমস অফ ইন্ডিয়া-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্যানিটারি ন্যাপকিন প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি নতুন দাম ধার্য করার বিষয়ে কাজ চালাচ্ছে। তবে, এই ক্ষেত্রের দুই উল্লেখযোগ্য সংস্থা P&G এবং জনসন অ্যান্ড জনসন-এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তারা এ বিষয়ে মুখ খুলতে চায়নি। বরং, এফআইএইচএ-এর তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, "কল্যাণকামী ভাবনা থাকলেও, এই সিদ্ধান্ত (স্যানিটারি ন্যাপকিন-কে ইনপুট ক্রেডিট না দেওয়া) অত্যাবশ্যকীয় পণ্যটির দাম কমিয়ে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে দেবে না। জিএসটি-র তালিকা থেকে বাদ দেওয়া৩ হলেও ভারতে উত্পাদিত স্যানিটারি ন্যাপকিন-কে ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট দেওয়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফলে, ক্ষতি এড়াতে সংস্থাগুলি খুব একটা বেশি দাম কমাতে পারবে না"।

এফআইএইচএ-এর দাবি, ভারতে উত্পাদিত স্যানিটারি ন্যাপকিন শিল্পকে ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট দেওয়া হলে পণ্যের দাম কমিয়ে তারাও এই সিদ্ধান্তের সুফল সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে পৌঁছে দিতে পারত। সংশ্লিষ্ট মহল সূত্রে খবর, স্যানিটারি ন্যাপকিনের উপর ১২ শতাংশ জিএসটি এবং ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট দুটিই লাগু থাকা কালীন ক্রেতাকে যা দাম দিতে হত তার তুলনায় জিএসটি ও ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট হীন ব্যবস্থায় ক্রেতার প্রদেয় কর কমেছে মাত্র ১.২ শতাংশ।

ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট কী?

সহজ কথায় কোনও ব্যবসায়ী যখন পণ্য বা পরিষেবা কেনার সময় কর প্রদান করেন, তখন পণ্য বা পরিষেবাটি বিক্রির সময় সমপরিমাণ কর ছাড় পেয়ে থাকেন এবং এর সুফল সাধারণ ক্রেতাও পায়। একেই বলে ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট। ধরা যাক, কোনও একটি পণ্য বা পরিষেবার এমআরপি ১ হাজার টাকা এবং সেটির উপর ১৮% জিএসটি নেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে জিএসটি হবে- ১৮০ টাকা। অর্থাত্ ক্রেতাকে দাম বাবদ মোট দিতে হবে ১১৮০ টাকা। কিন্তু, ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট ব্যবস্থার ফলে পণ্য/পরিষেবাটির চূড়ান্ত দাম কমে যায়। এখন, ধরা যাক ১০০০ টাকা বিক্রয় মূল্যের পণ্যটি প্রস্তুত করতে কাঁচামাল কিনতে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীকে ৮২৫ টাকা খরচ করতে হয়েছে। আর এরমধ্যে ১২৫ টাকাই জিএসটি দিতে হয়েছে ওই ব্যবসায়ীকে। সেক্ষেত্রে ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট ব্যবস্থার সৌজন্যে পণ্য বা পরিষেবাটি বিক্রির ক্ষেত্রে যে ১৮০ টাকা জিএসটি ধার্য হওয়ার কথা তা কমে (১৮০-১২৫=৫৫) ৫৫ টাকা হয়ে যাবে। আরও পড়ুন- রাহুলের সঙ্গে আলিঙ্গনাবদ্ধ হলে স্ত্রী ডিভোর্স দেবেন, খোঁচা বিজেপি সাংসদের

.