নিজস্ব প্রতিবেদন: পাকিস্তানের জেলে ৬ বছর কাটিয়ে বুধবার দেশে ফিরেছেন মুম্বইয়ের তরুণ হামিদ নিহাল আনসারি। ওই ৬ বছরের অভিজ্ঞতার মূল বিষয় হল কখনও ফেসবুকে কারও প্রেমে পড়া উচিত নয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-রাজনীতিতে টিকে থাকতে গেলে তৈলমর্দন করতে হয়, সাংসদ সৌমিত্র খাঁর ফেসবুক পোস্ট ঘিরে বিতর্ক 


সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার হামিদ নিহাল আনসারির শিক্ষা দেশের বহু তরুণেরই মাথায় রাখা উচিত। কারণ আধুনিক যুগে অতি জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়াই তাঁকে ডুবিয়েছে। জি নিউজের সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে পাক জেল তাঁর অভিজ্ঞতার কথা জানান।


পাকিস্তানে ৬ বছর কাটিয়ে মূলত তিনটি অভিজ্ঞতা হয়েছে হামিদের। সংবাদমাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন, ওই তিন অভিজ্ঞতা হল, কখনও ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়ায় কারও প্রেমে পড়বেন না, বাবা-মাকে কখনও মিথ্যে বলবেন না এবং বেআইনি ভাবে কোথাও যাবেন না।


কী হয়েছিল আসলে? এক পাক তরুণীর প্রেমে পড়েছিলেন মুম্বইয়ের তরুণ হামিদ নিহাল আনসারি। জোর করে ওই তরুণীর বিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। তা আটকাতে আফগানিস্থান হয়ে চোরা পথে ২০১২ সালে পাকিস্তানে চলে যান হামিদ।


আরও পড়ুন-শুনানি শেষ, বিজেপির রথযাত্রা নিয়ে রায়দান সময়ের অপেক্ষা


পাকিস্তানে ঢুকে ধরা পড়ে যান হামিদ। এদিকে বাড়িতেও কিছু বলে যাননি। ২০১৫ সালে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে পাক আদালত। তিন বছরের জেল হয় হামিদের। এর পর থেকেই ভারত ও পাকিস্তানের একাধিক মানবাধিকার সংগঠন হামিদের মৃত্যুর পক্ষে সরব হয়। পাশাপাশি এনিয়ে হস্তক্ষেপ করেন সুষমা স্বরাজও। ৩৩ বছরের হামিদের বিরুদ্ধে চরবৃত্তির অভিযোগ আনা হয়।


বুধবার দেশে ফিরেই বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে সাক্ষাত করেন হামিদ। সুষমার সামনে কান্নায় ভেঙে পড়ে তাঁর ৬ বছরের জেলের অভিজ্ঞাতার কথা জানান।