শুনানি শেষ, বিজেপির রথযাত্রা নিয়ে রায়দান সময়ের অপেক্ষা
এদিন সওয়াল জবাব চলাকালীন বিজেপির আইনজীবী এস কে কুমারের সওয়াল, এজি-র বক্তব্যের সঙ্গে মামলার কোনও সম্পর্ক নেই। এজি রামদেবের সভা বাতিলের তুলনা দিয়েছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: আজই কি কলকাতা হাইকোর্টে বিজেপির রথ মামলার রায়? এই জল্পনার মধ্যেই চলছে সরকার-বিজেপি সওয়াল-জবাব। আজ শুরুতে বিজেপির আইনজীবী যুক্তি দেন, কোন আইনে রথযাত্রার অনুমতি বাতিল করা হল তার কোনও যুক্তিগ্রাহ্য ব্যাখ্যা দেয়নি পুলিস- প্রশাসন।
এদিন সওয়াল জবাব চলাকালীন বিজেপির আইনজীবী এস কে কুমারের সওয়াল, এজি-র বক্তব্যের সঙ্গে মামলার কোনও সম্পর্ক নেই। এজি রামদেবের সভা বাতিলের তুলনা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিজেপির রথযাত্রার অনুমতি নিয়ে হাইকোর্টে বাদানুবাদ বিচারপতি ও এজি-র, রায় আগামিকাল
এরপরই এস কে কুমার সওয়াল করেন, তিন শীর্ষ কর্তা আশঙ্কার কথা জানিয়ে অনুমতি বাতিল করেছেন। কিন্তু কোন আইনের বলে তা বাতিল হচ্ছে তার কোনও যুক্তিগ্রাহ্য ব্যাখ্যা নেই কর্তাদের রিপোর্টে। ৷ তিন কর্তাকে তো ‘রিজনেবল স্ট্যান্ড’ জানাতে হবে।
এরপরই রাজ্যের এজির জবাব, “কেন এই রথকে বাধা দেওয়া হচ্ছে, এর পিছনে কি কারন আছে সেটা বুঝতে মুখবন্ধ রিপোর্ট খুললেই বুঝতে পারবেন।” তাঁর যুক্তি মুখ বন্ধ খামেরর ভিতরের নথিতেই স্পষ্ট লেখা কেন রাজ্য রথ যাত্রায় আপত্তি করয়েছে। এখনও সওয়াল জবাব চলছে।
প্রসঙ্গত, বিজেপির রথযাত্রাকে অনুমতি দেওয়ার প্রসঙ্গে হাইকোর্টে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ালেন অ্যাডভোকেট জেনারেল। এদিন হাইকোর্টে এজি বলেন, "বিজেপি যে গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রা বলেছে, তাতে কিছু অ্যাজেন্ডা আছে। শেষ অ্যাজেন্ডায় বলা আছে তৃণমূল সাম্প্রদায়িক। হিন্দুদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।"
এরপর কীভাবে এই যাত্রাকে অনুমতি দেওয়া যায়? আদালতের কাছে সেই প্রশ্ন তোলেন এজি। উত্তরে বিচাপতি বলেন, "তাহলে কিছু শর্ত দিতে পারতেন। আগে থেকে কেন অনুমান করছেন? যখন আপনাদের ক্ষমতা আছে?" বিচারপতির প্রশ্নের উত্তরে এজি জানান, "রিপোর্টে সব উল্লেখ করা হয়েছে। এবার সিদ্ধান্ত আদালত নেবে।” শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার শুনানি শেষ হয়েছে। এবার রায়দান সময়ের অপেক্ষা।