মুম্বাই নয়, দিল্লিই এখন দেশের অর্থনৈতিক রাজধানী
দিল্লি চলো। নেতাজীর এই ঐতিহাসিক ডাকেই যেন সাড়া দিয়ে 'কদম কদম বড়ায়ে যা...'-র দৃপ্ত পদক্ষেপে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চলেছে রাজধানীর অভিমুখে। রাতারাতি মুকুট হারাল মায়ানগরী মুম্বাই। দেশের অর্থনৈতিক রাজধানীর শিরোপা উঠল দেশের প্রশাসনিক রাজধানী দিল্লির মাথায়। সম্প্রতি অক্সফোর্ড ইকনমিক্সের দেওয়া তথ্য পরিসংখ্যান অনুসারে অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপের ভিত্তিতে বিশ্বের সেরা ৫০টি মেট্রোপলিটন শহরের মধ্যে ৩১ নম্বরে মুম্বাই, আর তার ঠিক আগেই ৩০ তম স্থানে দিল্লি। এই পরিসংখ্যান ২০১৫ সালে করা সর্বশেষ সমীক্ষা থেকে উঠে এসেছে।
ওয়েব ডেস্ক: দিল্লি চলো। নেতাজীর এই ঐতিহাসিক ডাকেই যেন সাড়া দিয়ে 'কদম কদম বড়ায়ে যা...'-র দৃপ্ত পদক্ষেপে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চলেছে রাজধানীর অভিমুখে। রাতারাতি মুকুট হারাল মায়ানগরী মুম্বাই। দেশের অর্থনৈতিক রাজধানীর শিরোপা উঠল দেশের প্রশাসনিক রাজধানী দিল্লির মাথায়। সম্প্রতি অক্সফোর্ড ইকনমিক্সের দেওয়া তথ্য পরিসংখ্যান অনুসারে অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপের ভিত্তিতে বিশ্বের সেরা ৫০টি মেট্রোপলিটন শহরের মধ্যে ৩১ নম্বরে মুম্বাই, আর তার ঠিক আগেই ৩০ তম স্থানে দিল্লি। এই পরিসংখ্যান ২০১৫ সালে করা সর্বশেষ সমীক্ষা থেকে উঠে এসেছে।
অক্সফোর্ড ইকনমিক্সের পরিসংখ্যান অনুসারে দিল্লি, জাতীয় রাজধানী এলাকা (এনসিআর), গুড়গাঁও, ফরিদাবাদ, নয়ডা এবং গাজিয়াবাদ এলাকা নিয়ে গঠিত যে দিল্লি এক্সটেনডেড আর্বান অ্যাগ্লোমারেশন তার জিডিপি অ্যাট পিপিপি (পারচেসিং পাওয়ার প্যারিটি) ৩৭০ বিলিয়ান মার্কিন ডলার। পক্ষান্তরে, নভি মুম্বাই, থানে, ভাসাই-ভিরার, ভিওয়ান্দি এবং পানভেল নিয়ে গঠিত মুম্বাই এক্সটেনডেড আর্বান অ্যাগ্লোমারেশন-এর জিডিপি অ্যাট পিপিপি ৩৬৮ বিলিয়ান মার্কিন ডলার। ফলে পরিষ্কার অ্যাডভান্টেজ দিল্লি। আর শুধু এটুকুই নয়, বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ অর্থনৈতি বিশ্লেষণকারী সংস্থা অক্সফোর্ড ইকনমিক্স আগাম জানিয়ে রেখেছে যে ২০৩০ সালের মধ্যে এই সমীক্ষায় দিল্লি বিশ্ব মানচিত্রে ১১ নম্বর স্থানে চলে আসবে, আর মুম্বাই থাকবে ১৪ নম্বরে।
আরও পড়ুন- বছরে এক ডলার বেতন ও বিনা ছুটিতে কাজ করবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প
এতো গেল তথ্যের কচকচি, কিন্তু দিল্লির এই উত্থানের পেছনে কারণ কী? বিশেষজ্ঞদের দাবি, কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধান কার্যালয়গুলোর কাছাকাছি থাকার জন্য বিশেষ ক্লিয়ারেন্সের সুবিধা পায় লুটিয়েন্সের শহর। এছাড়াও দিল্লির সার্বিক পরিকাঠামো ও রিয়েল্টি কস্টও মুম্বাইয়ের চেয়ে অনেক কম।
তবে সে যাই হোক। আপাতত, ক্যুইজ বা জি.কে.-র জন্য ভাল করে জেনে রাখুন মুম্বাই আর নয় এবার দিল্লিই ভারতের অর্থনৈতিক রাজধানী। এখন দেখার ভারতের প্রথম সারির ব্যাঙ্কগুলিও এই পরিসংখ্যানে ভিত্তি করে তাদের প্রধান কার্যালয় দিল্লিতে সরায় কিনা।