সেনাবাহিনীতে ‘কাপুরুষদের’ কোনও জায়গা নেই, জওয়ানকে সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট
২০০৮ সালের ৬ মার্চ সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত হন জম্মু ও কাশ্মীরে কর্তব্যরত জওয়ান দলবীর সিং
![সেনাবাহিনীতে ‘কাপুরুষদের’ কোনও জায়গা নেই, জওয়ানকে সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট সেনাবাহিনীতে ‘কাপুরুষদের’ কোনও জায়গা নেই, জওয়ানকে সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2019/07/04/199469-4.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন: চাকরি বাঁচাতে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েও কোনও সুরাহা হল না। উল্টে সেনানী সুলভ আচরণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় আদালতে চরম ধমক খেলেন জওয়ান। আদালতের সাফ মন্তব্য, সেনাবাহিনীতে কাপুরুষদের কোনও জায়গা নেই।
আরও পড়ুন-মর্মান্তিক! ভবানীপুর ক্লাবে অনুশীলনের সময়ে আচমকাই মৃত্যু তরুণী বক্সারের
২০০৮ সালের ৬ মার্চ সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত হন জম্মু ও কাশ্মীরে কর্তব্যরত জওয়ান দলবীর সিং। তাঁর বিরুদ্ধে ভীরুতার অভিযোগ তুলে দলবীরের বিচার হয় সেনা আদালতে। সেখানে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে বরখাস্ত করা হয়। সেনা আদালতের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যান দলবীর সিং। সেই মামলার রায় দিল শীর্ষ আদালত।
কী নিয়ে মামলা? ২০০৬ সালের ১৩ অগাস্ট জম্মু ও কাশ্মীরের দারিগিদিয়ান গ্রাম ঘিরে ফেলে রাষ্ট্রীয় রাইফেলস। সেনাবাহিনীর কাছে খবর ছিল সেখানে লুকিয়ে রয়েছে বেশ কয়েকজন জঙ্গি। এই সময়ে সেনাবাহনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। গুলি শুরু হতেই নিজের পোস্ট ছেড়ে চলে যান দলবীর সিং। তবে জঙ্গিরা তার পায়ে গুলি করে তার মেশিনগান কব্জা করে এক জওয়ানকে হত্যা করে। পাশাপাশি গুলি চালিয়ে সেনাবাহিনীর কর্ডন ভেঙে দেয়। ওই ঘটনার পরিপ্রক্ষিতে দলবীরকে সেনা বাহিনী থেকে বরখাস্ত করা হয় ও ৬ মাসে জেল হয় দলবীরের।
আরও পড়ুন-আহমেদাবাদে রথযাত্রার প্রস্তুতি শেষ; মঙ্গল আরতি করলেন অমিত শাহ, দেখুন
আদালত তার রায় দিতে গিয়ে বলে, দেশের সীমান্ত সুরক্ষার যেখানে প্রশ্ন সেখান কোনও জওয়ান আগে কী করেছে তা বিচার্য নয়। বরং প্রয়োজনের সময়ে একজন সেনা ঘুরে দাঁড়াবে এটাই আশা করা হয়। জওয়ানদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য বিপুল টাকা খরচ করে দেশ। দেশের সুরক্ষার জন্যে তারা লড়াই করবে এটাই স্বাভাবিক। কোনও কঠিন পরিস্থিতিতে জওয়ানরা যদি পিছু হঠে তাহলে তাকে কাপুরুষতাই বলা যায়।