ফের বিকল গ্রিড, বিদ্যুত্ বিপর্যয় পশ্চিমবঙ্গ-সহ ১৯ রাজ্যে
চব্বিশ ঘণ্টার ব্যবধানে ফের গ্রিড-গরমিল! নর্দার্ন পাওয়ার গ্রিডের পাশাপাশি এবার বিকল হল ইস্টার্ন গ্রিডও। আর গ্রিড বসে গিয়ে উত্পাদিত বিদ্যুত্ বণ্টন ব্যবস্থা বন্ধ হওয়ার ফলে উত্তর ভারতের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ-সহ পূর্ব এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ বিদ্যুত্ বিভ্রাট।
চব্বিশ ঘণ্টার ব্যবধানে ফের গ্রিড-গরমিল! নর্দার্ন পাওয়ার গ্রিডের পাশাপাশি এবার বিকল হল ইস্টার্ন গ্রিডও। আর গ্রিড বসে গিয়ে উত্পাদিত বিদ্যুত্ বণ্টন ব্যবস্থা বন্ধ হওয়ার ফলে উত্তর ভারতের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ-সহ পূর্ব এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ বিদ্যুত্ বিভ্রাট। এই পরিস্থিতিতে বুধবারের আগে পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার কোনও আশাই দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা।
এদিন দুপুর ১টা নাগাদ নর্দার্ন পাওয়ার গ্রিডের সঙ্গে ইস্টার্ন পাওয়ার গ্রিড'ও বিকল হয়ে যায়। ফলে পঞ্জাব, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ, উত্তর প্রদেশ রাজস্থান-সহ উত্তর ভারতের রাজ্যগুলির পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, অসম সমেত মোট ১৯টি রাজ্যের বিদ্যুত্ পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। ২২ টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সরাসরি প্রভাব পড়ে রেল পরিষেবায়। দেশজুড়ে কয়েকশো ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়ে। পাশাপাশি বহু রাজ্য জরুরি পরিষেবা, ট্যাফ্রিক ব্যবস্থায় প্রভাব পড়ে। কয়েক ঘণ্টার জন্য বন্ধ হয়ে যায় দিল্লির মেট্রো রেলও। প্রভাব পড়ে এটিএম পরিষেবাতেও। হাওড়া ও শিয়ালদা শাখার বিভিন্ন স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়ে ৫০০-র'ও ট্রেন। দূরপাল্লার ট্রেন পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে চরম দুর্ভোগের শিকার হন যাত্রীরা। ডিজেল ইঞ্জিনের সাহায্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা শুরু হয় পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব রেলের তরফে। প্রাথমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না হলেও পরে মেট্রো পরিষেবাও কিছুটা ব্যাহত হয়। কেবলমাত্র সিইএসই এলাকাতেই বিদ্যুত্ ঘাটতি দাঁড়ায় ৫০০ মেগাওয়াটে।
সন্ধের পর থেকে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। উত্তর পূর্বাঞ্চলে পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। পূর্ব এবং উত্তরেও পরিস্থিতি স্বাভাবিকের পথে। এর আগেও গ্রিড বিকলের জেরে বিদ্যুত্ বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটেছে। তবে এই প্রথম দেশের ৫ টি পাওয়ার গ্রিডের মধ্যে ৩ টিই বিকল হওয়ার মত ঘটনা ঘটল। কেন্দ্রীয় বিদ্যুতমন্ত্রীর অভিযোগ, কয়েকটি রাজ্য নির্দিষ্ট কোটার থেকে বেশি বিদ্যুত্ নেওয়ার ফলেই এই বিপর্যয়। সোমবার নর্দার্ন গ্রিড বিকল হওয়ার পর গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কমিটি গঠনের কথা বলেছিলেন সুশীল শিন্ডে। মঙ্গলবারের বিপর্যয়ের পর তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, যে সব রাজ্য কোটার অতিরিক্তি বিদ্যুত নিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গতকালের মতোই নর্দার্ন গ্রিড কর্তৃপক্ষের তরফে জানান হয়, ইঞ্জিনিয়াররা ত্রুটি মেরামতের কাজ শুরু করেছেন। তাঁদের আশা, কিছুক্ষণের মধ্যে পরিষেবা স্বাভাবিক হবে। রাতের মধ্যেই হাসপাতাল বা পরিবহণে বিদ্যুত্ পরিষেবা অনেকটাই স্বাভাবিক করে আনা যাবে বলে ইস্টার্ন গ্রিড কর্তৃপক্ষের তরফে দাবি করা হয়। ইস্টার্ন রেলের পিআরও সমীর গোস্বামী জানান, পূর্বাঞ্চলীয় গ্রিড বিকল হওয়ায় রেল পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। মঙ্গলবার রাতের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে বলে আশাপ্রকাশ করেন তিনি।