Lecturer Works as Porter: দিনে কলেজে পড়িয়ে রাতে কুলির কাজ করেন এই তরুণ, কারণ জানলে তাজ্জব হবেন
প্রত্যন্ত গ্রামের সন্তান নাগেশুর পড়াশোনা দারিদ্রের চাপে বন্ধ হয়ে যায় ২০০৬ সালে। তখনই ঠিক করে ফেলেন সুযোগ পেলে গরির ছেলেমেয়েদের পড়াবেন। ২০১২ সালে করেশপনডেন্সে উচ্চ মাধ্য়মিক পাশ করেন। তারপর স্নাতক ও স্নাতকোত্তর
![Lecturer Works as Porter: দিনে কলেজে পড়িয়ে রাতে কুলির কাজ করেন এই তরুণ, কারণ জানলে তাজ্জব হবেন Lecturer Works as Porter: দিনে কলেজে পড়িয়ে রাতে কুলির কাজ করেন এই তরুণ, কারণ জানলে তাজ্জব হবেন](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2022/12/11/399645-8.png)
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এই যুগে এমন মানুষের কথা শুনলে অবার হয়ে যেতে হয়। ওড়িশার গঞ্জামের বেরহামপুর স্টেশনে বিশাল বোঝা বয়ে নিয়ে যেতে দেখা যায় নাগেশু পাত্রকে। এটা অবশ্য রাতে বেলা। দিনে তিনি করেন একেবারে অন্য কাজ। একটি বেসরকারি কলেজে পড়ান নাগেশু(৩১)। কেন এমন কাজ করেন? এর পেছনে রয়েছে আরও বড় চমক।
আরও পড়ুন-কাপ এবার এই দলেরই! বিরাট ভবিষ্যদ্বাণী Waka Waka গায়িকার
গরিব বাচ্চাদের জন্য একটি কোচিং সেন্টার খুলেছেন নাগেশু। একসময় নিজেই পড়াতেন। এখন সেখানে পড়ুয়া বেড়েছে। ফলে রাখতে হয়েছে মোট ৪ জন শিক্ষক। তাদের বেতন আসবে কোথা থেকে? কোচিং সেন্টারের শিক্ষকদের বেতন দেওয়ার জন্য তিনি বেছে নিয়েছেন রেল কুলির কাজ। সকালে চলে আসেন কলেজে। সেখানে তিনি গেস্ট লেকচারার। কলেজের পড়ানোর পর দিনের শেষ চলে আসেন নিজের কোচিং সেন্টারে। সেখানে পড়ানোর পর সন্ধেয় বেরিয়ে পড়েন বেরহামপুর স্টেশনের উদ্দেশ্যে।
করোনার সময়ে কোচিং সেন্টারের শুরু। কলেজ ছিল না। তাই বিনা পয়সায় কোচিং সেন্টার খুলে বসেন। সেখানে পড়তে শুরু করেন এইট থেকে টুয়েলভ ক্লাসের পড়ুয়াদের। পড়ুয়াদের চাপে তিনি আরও ৪ শিক্ষক নিয়ে নেন। তারা পড়ান হিন্দি ও ওড়িয়া ছাড়া বাকী সব বিষয়। বেসরকারি কলেজে গেস্ট লেকচারার হিসেবে মাসের শেষ নাগেশু পান মাত্র ৮ হাজার টাকা। সেই টাকার পুরোটাই পাঠিয়ে দেন বাবা-মাকে।
একেবারে প্রত্যন্ত গ্রামের সন্তান নাগেশুর পড়াশোনা দারিদ্রের চাপে বন্ধ হয়ে যায় ২০০৬ সালে। তখনই ঠিক করে ফেলেন সুযোগ পেলে গরির ছেলেমেয়েদের পড়াবেন। ২০১২ সালে করেশপনডেন্সে উচ্চ মাধ্য়মিক পাশ করেন। তারপর স্নাতক ও স্নাতকোত্তর। আর বেরহামপুর স্টেশনে নথিভূক্ত কুলি ২০১১ সাল থেকে। তার পর কলজের গেস্ট লেকচারার ও কোচিং সেন্টার খোলা।