নিজস্ব প্রতিবেদন: মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়ের সিবিআই বিরোধিতার আঁচ যে সংসদে পড়বে তা রবিবারই আন্দাজ করা গিয়েছিল। এদিনই রাহুল, অখিলেশ, কেজরিওয়াল সহ একাধিক সর্বভারতীয় নেতা মমতাকে ফোন করে পাশে থাকার কথা জানান। আর তার প্রতিফলনই পড়ল সোমবার সাংসদে। সিবিআই নিয়ে আলোচনার দাবিতে প্রবল হইহট্টগোল শুরু হয়ে যায় সংসদে। তারই জেরে মুলতুবি হয়ে গেল সংসদের দুই কক্ষই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-পশ্চিববঙ্গের বাস্তব পরিস্থিতি জানাতে আজ নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছে বিজেপি


রবিবার থেকেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে ডেরেক ও’ব্রায়েন ও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী নেতাদের সঙ্গে কথাবার্তা শুরু করেন। সোমবার সকাল সাড়ে দশটা থেকে এগারোটার মধ্যে সব বিরোধী দলগুলির মধ্যে একটি আলোচনা হয়। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়ে যায় এগারোটায় অধিবেশন শুরু হলেই তারা একযোগে সরকারকে আক্রমণ করবে।


এদিন তৃণমূলের তরফে রাজ্যসভায় আলোচনা চেয়ে নোটিশ দেওয়া হয়। আম আদমি পার্টির তরফেও আলোচনার জন্য নোটিশ দেন আপ সাংসদ সঞ্জয় সিং। একই নোটিশ দেওয়া হয় লোকসভাতেও। কিন্তু সেই নোটিশ গৃহীত হয়নি। তার পরেই বিরোধীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন।


আরও পড়ুন-রাজীবের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে এমন ব্যবস্থা নেব, সারা জীবন পস্তাবে, বললেন প্রধান বিচারপতি


তৃণমূলের নেতৃত্ব ১৫টি দল সংসদে সিবিআই নিয়ে আলোচনার জন্য তুমুল দাবি করে। রাজ্যসভায় ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিরোধীরা। এদিন সাড়ে দশটা নাগাদ সংসদের বাইরেও সিবিআই নিয়ে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল। সেখানেও কংগ্রেস সহ অন্যান্য বিরোধীরা তৃণমূলকে সমর্থন করে। বিজেডির মতো দলও সিবিআই নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। লোকসভা ও রাজ্যসভার পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে তা শেষপর্যন্ত মুলতুবি করে দিতে হয়।