পিএনবি-র পর ওরিয়েন্টাল ব্যাঙ্ক অফ কমার্স, ৩৯০ কোটির দুর্নীতির হদিশ
দিল্লির ঘটনায় ইতিমধ্যেই দারকা দাস শেঠ ইন্টারন্যাশনাল নামে ওই সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে সিবিআই। তদন্তকারী আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, এফএলসি-র মাধ্যমে বিদেশ থেকে গহনা কেনার নাম করে দফায় দফায় ৩৯০ কোটি টাকা ধার নেন সভ্য শেঠ ও রীতা শেঠ।
নিজস্ব প্রতিবেদন : ফের বড়সড় ব্যাঙ্ক জালিয়াতির হদিশ পেল সিবিআই। ওরিয়েন্টাল ব্যাঙ্ক অফ কমার্স থেকে ৩৯০ কোটি টাকা জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে দিল্লির গহনা ব্যবসায়ী সভ্য শেঠ ও রীতা শেঠের বিরুদ্ধে। এফএলসি-র মাধ্যমে ২০০৭ থেকে ব্যাঙ্কের সঙ্গে প্রতারণা করার অভিযোগ উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে। সিবিআই তদন্ত শুরু করলেও, গত ১০ মাস ধরে বেপাত্তা সভ্য শেঠ।
আরও পড়ুন- সুইফ্ট মোডে ঋণ মঞ্জুরে নয়া নিয়ম পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের
চলতি মাসেই পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে ১১ হাজার ৩০০ কোটি টাকার জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে হিরে ব্যবসায়ী নীরব মোদী ও তাঁর মামা মেহুল চোকসির বিরুদ্ধে। মুম্বইয়ে পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের ব্র্যাড রোড শাখা থেকে সুইফ্ট পদ্ধতির মাধ্যমে ১১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা ঋণ নেন ব্যবসায়ী নীরব মোদী। চলতি মাসে তদন্তে নেমে সিবিআই ও ইডি জানতে পারে ঋণ নেওয়ার গোটা পদ্ধতিটিই ত্রুটিপূর্ণ ছিল। আর তাতে জড়িয়ে ছিলেন ব্যাঙ্কের ওই শাখারই দুই আধিকারিক। এরপরই সামনে আসে ভারতীয় ব্যাঙ্কিং পরিষেবায় এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বড় দুর্নীতি। ইতিমধ্যেই এই মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে ১২ জনকে। ধৃতদের মধ্যে যেমন রয়েছে ব্যাঙ্কের অভিযুক্ত দুই আধিকারিক, তেমনই রয়েছে নীরব মোদীর সংস্থার প্রথম সারির আধাকারিকরা।
দিল্লির ঘটনায় ইতিমধ্যেই দ্বারকা দাস শেঠ ইন্টারন্যাশনাল নামে ওই সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে সিবিআই। তদন্তকারী আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, এফএলসি-র মাধ্যমে বিদেশ থেকে গহনা কেনার নাম করে দফায় দফায় ৩৯০ কোটি টাকা ধার নেন সভ্য শেঠ ও রীতা শেঠ। কিন্তু তার পর থেকে নানা অছিলায় সেই টাকা ফেরাতে অস্বীকার করেন তাঁরা। বারবার ব্যাঙ্কের তরফে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও, তাদের কোনও হদিশ মেলেনি। এরপরই সিবিআইয়ের দ্বারস্থ হয় ব্যাঙ্ক। তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, দিল্লির পাঞ্জাবি বাগের বাড়িত থেকে ১০ মাস আগে পালিয়েছেন তাঁরা। তবে, দুবাইতে তাদের সংস্থার একটি শাখার খোঁজ পেয়েছে সিবিআই। সেই সূত্র ধরেই শুরু হয়েছে তদন্ত।