নিয়ন্ত্রণরেখার ওপার থেকে হামলার চেষ্টা পাকিস্তানের, যোগ্য জবাব ভারতের
সকাল ৬টা নাগাদ তারা প্রথমবার গোলাবর্ষণ শুরু করে। ঘটনাটি ঘটে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর জম্মু-কাশ্মীরের পুঞ্চের কৃষ্ণা ঘাটি সেক্টরে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ভারতের প্রত্যাঘাতের পরও শিক্ষা হয়নি পাকিস্তানের। বুধবারের মতো বৃহস্পতিবারও তারা সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করল। এদিন সকালে নিয়ন্ত্রণরেখার ওপার থেকে নতুন করে হামলা চালায় পাকিস্তান।
আরও পড়ুন: মোদী জমনায় সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় খোলনলচে বদলে ফেলেছে ভারত!
সকাল ৬টা নাগাদ তারা প্রথমবার গোলাবর্ষণ শুরু করে। ঘটনাটি ঘটে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর জম্মু-কাশ্মীরের পুঞ্চের কৃষ্ণা ঘাটি সেক্টরে।
পাকিস্তানের তরফ থেকে হামলা হতেই যোগ্য জবাব দেওয়া শুরু করে ভারত। ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই ওপার থেকে গোলাবর্ষণে বন্ধ করতে বাধ্য পাক রেঞ্জার্সরা।
আরও পড়ুন: ভারতের এয়ারস্ট্রাইকের পর কোণঠাসা ইমরানের মুখে আলোচনার আর্জি
প্রতিরক্ষামন্ত্রকের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল দেবেন্দর আনন্দ জানান, পাকিস্তানের দিক থেকে সকাল ৬টা নাগাদ বিনা প্ররোচনায় মর্টার আসতে থাকে। গুলি ছোড়া হয় ওপার থেকে।
এদিকে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ৫ কিলোমিটার দূরত্বে ভারত সবসমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে। রাজৌরি, পুঞ্চ ও সাম্বা জেলায় আন্তর্জাতিক সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিফলে পাক হানা, নিখোঁজ এক ভারতীয় পাইলট, পাক হেফাজতে থাকার দাবি খতিয়ে দেখছে বিদেশমন্ত্রক
বুধবার পাকিস্তানের দিক থেকে হামলা চালানো হয়েছিল। নিয়ন্ত্রণরেখার ওপার থেকে একাধিক জায়গায় হামলা চালানো হয়েছিল। পাঁচ ভারতীয় সৈনিক আহত হয়েছিলেন। যোগ্য জবাব দিয়েছিল ভারত।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলায়। শহিদ হন ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান। আহত হন অনেকে। ওই ঘটনার পর ক্ষোভে ফুঁসতে থাকে আসমুদ্র-হিমাচল। সকলেই পুলওয়ামর ঘটনার বদলার দাবিতে সরব হন।
আরও পড়ুন: বিমান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, কিছুক্ষণেই স্বাভাবিক হবে পরিষেবা
পুলওয়ামা হামলার দায় নিয়েছিল জইশ-ই-মহম্মদ। তাদের যেহেতু পাকিস্তান সাহায্য করে তাই ভারত সরকার প্রথমেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একের পর কড়া ব্যবস্থা নিতে শুরু করে। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়ে দেন যে সেনাবাহিনীকে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে।
পুলওয়ামার ঘটনার ১২ দিন পর জবাব দেয় ভারত। ভারতীয় বায়ুসেনার ১২টি মিরাজ-২০০০ যুদ্ধবিমান ঢুকে পড়ে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় জইশের সবচেয়ে বড় জঙ্গিঘাঁটি।
আরও পড়ুন: ভারতের উপর হামলার চেষ্টা চালানোর পর শান্তির বার্তা দিচ্ছে ইসলামাবাদ!
আর তার পর থেকেই পাকিস্তানের হামলার গতি বাড়তে শুরু করেছে। বুধবার পাকিস্তানের তিনটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ঢুকে পড়ে ভারতের আকাশে। সেগুলিকে তাড়িয়ে দেয় ৬টি মিগ-২১।
এই প্রক্রিয়ায় পাকিস্তানের একটি যুদ্ধবিমান ভেঙে পড়ে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ভারতের একটি মিগ-২১। সেই বিমানের পাইলটকে ধরে রেখেছে পাকিস্তান।