জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রামমন্দির নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে পাকিস্তান? অন্তত সোশ্যাল মিডিয়া তেমনই স্বাক্ষর দিচ্ছে বলে মত সংশ্লিষ্ট মহলের। যত রামমন্দির উদ্বোধনের দিন এগিয়ে আসছে, ততই পাকিস্তানের একটা অংশ এর বিরুদ্ধে ক্যাম্পেইন করে চলেছে বলে দেখা যাচ্ছে। যা এক হিসেবে ভারতের রামমন্দির-আবেগকে খাটো করে দেখাচ্ছে বলে মত সংশ্লিষ্ট মহলের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Ram Mandir Inauguration: রামমন্দির উদ্বোধনের দিনে ঘোষণা করে দেওয়া হল ছুটি! আর কী কী ঘটছে ওইদিন?


কী বলছে পাকিস্তান? পাকিস্তান বলছে, ভারতে যে রামমন্দির তৈরি হয়েছে, তার মোটেই স্থানগত কোনও গুরুত্ব নেই। কেননা, যে-জায়গাটা রামমন্দির তৈরি হয়েছে, সেটা মোটেই রামের জন্মস্থান নয়। বরং রামের জন্মস্থান বলে মান্য ও স্বীকৃত যে-ভূমি তার থেকে অন্তত ৩ কিলোমিটার দূরে তৈরি হয়েছে নতুন এই রামমন্দির, যা নিয়ে ভারতজুড়ে এত হইহই।
  
শুধু তাই নয়, পাকিস্তান বলছে, যে দিনে বা সময়ে রামমন্দির উদ্বোধন হচ্ছে বা প্রাণপ্রতিষ্ঠা হচ্ছে, তারও কোনও শাস্ত্রীয় গুরুত্ব নেই। কেননা, দিনটি শুভ নয়, শুভ মুহূর্ত নয়, প্রাণপ্রতিষ্ঠার তিথিমুহূর্তটি।


তবে, ভারতের বিভিন্ন মহল থেকে পাকিস্তানের এই অপপ্রচারের কড়া সমালোচনা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, রামমন্দির ঠিক সেখানেই তৈরি হচ্ছে যে-স্থানটি রামের জন্মস্থান বলে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মানুষের বিশ্বাস অর্জন করে এসেছে। সেখান থেকে বিচ্যুতি ঘটানো হবে না বলেই, রামমন্দিরের জন্য কম প্রশস্ত জমিই নেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানের সমস্ত অপপ্রচার উড়িয়ে দিয়ে সংশ্লিষ্ট মহল বলেছে, রামমন্দির হচ্ছে যথাস্থানেই, এবং সমস্ত শাস্ত্রীয় আচারবিচার মেনেই তা হচ্ছে।


আরও পড়ুন: Puri Jagannath Temple: নতুন জগন্নাথমন্দির! রামমন্দিরের আবহেই দেশ পেল এই রঙিন পুরীধাম...


প্রসঙ্গত, অযোধ্যায় ২২ জানুয়ারি ১৫০টি দেশের প্রতিনিধিরা আসবেন। ওইদিন ১০০-টিরও বেশি চার্টার্ড জেট আসছে অযোধ্যায়। ২০২০ সালের ৫ অগস্ট ভূমিপূজন দিয়েই এই গ্র্যান্ড ইভেন্ট শুরু করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। রাম মন্দিরের উদ্বোধনও করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই। ১৬ জানুয়ারি থেকেই অযোধ্যার শুরু রামমন্দিরের উৎসব। ১৬ জানুয়ারি হয়েছে দশবিধ স্নান, বিষ্ণুপূজা, সরযূতীরে  গোদান। পরদিন ১৭ জানুয়ারি রামলালার মূর্তি নিয়ে শোভাযাত্রা অযোধ্যায় পৌঁছেছে। তাঁদের সঙ্গে ছিল সরযূর জলে পূর্ণ কলস। আজ, ১৮ জানুয়ারি গণেশ পুজো দিয়ে প্রাণ প্রতিষ্ঠার মূল অংশের আচারের শুরু। থাকছে ব্রাহ্মণ বরণ বা বাস্তুপূজার মতো অনুষ্ঠানও। ১৯ জানুয়ারি নবগ্রহ প্রতিষ্ঠা হবে। হবে হোমও। ২০ জানুয়ারি সরযূর জলে মন্দির ধোয়া হবে, এর পরে হবে অন্নাধিবাস। ২১ জানুয়ারি রামলালাকে ১২৫ কলসজলে স্নান করানো হবে। ২২ জানুয়ারি দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট থেকে ১টা-র মধ্যে প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠান শুরু হবে, তারপর রামলালার মূর্তি স্থাপন করা হবে। সাধারণ মানুষের মন্দিরপ্রবেশ ২১ ও ২২ জানুয়ারি  বন্ধ থাকবে। ২২ জানুয়ারি প্রাণপ্রতিষ্ঠার সমস্ত আচার-অনুষ্ঠান হয়ে গেলে বন্ধ রাখা হবে মন্দির। ২৩ জানুয়ারি থেকে তা ভক্তসাধারণদের জন্যে খুলে দেওয়া হবে।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)