ওয়েব ডেস্ক: ৮ মাসের পাকিস্তানি শিশুটা বাঁচিয়ে দিল তার ২ বছরের দিদিকে। নিজের অস্থিমজ্জা দান করে দিদি জিনিয়ার প্রাণ ফেরাল রায়ান। ভারতের কনিষ্ঠতম স্টেম সেল ডোনার পাকিস্তানের এই ছোট্ট শিশু। পাকিস্তানের ছোট্ট শিশুটা প্রাণ ফিরে পেল ভারতে। দুই দেশের সম্পর্কের রসায়ন যাই হোক, পাকিস্তানি শিশুটার প্রাণ ফিরিয়ে দিতে চেষ্টার কসুর করলেন না ভারতীয় চিকিত্সকরা। হেমোফাগোসাইটিক লিম্ফোহিস্টিওসাইটোসিস ধরা পড়ে পাকিস্তানি এই শিশুটির। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে এই রোগটি বাসা বাঁধে। এই রোগ হলে অস্থিমজ্জা শরীরে অস্বাভাবিক কোষ তৈরি করে। এই অস্বাভাবিক কোষ মজ্জার স্বাভাবিক কোষকে খেয়ে ফেলে। বোন ম্যারো প্রতিস্থাপন ছাড়া তখন আর কোনও উপায় থাকে না। পাকিস্তানি পরিবারটি বহু হাসপাতাল ঘুরেছেন। দেখিয়েছেন বহু ডাক্তার। কিন্তু ফল মেলেনি। অবশেষে বেঙ্গালুরু। দক্ষিণ ভারতের চিকিত্সা ব্যবস্থা নিয়ে কারও কোনও সংশয় নেই। কিন্তু চিকিত্সকদের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ দাতা ও গ্রহীতার বয়স।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন আজ স্যালুট যুবরাজকে নয়, তাঁর বাবা যোগরাজকে


একমাস ধরে নানারকম সংক্রমণ ও জ্বরে ভুগছিল মেয়েটি। সেটা একটা চ্যালেঞ্জ। দাতার বয়স মাত্র ৮ মাস। সেটা আরও একটা চ্যালেঞ্জ। ছোট্ট ওই শিশুটার শরীর থেকে দু-দুবার অস্থিমজ্জা টানতে হয়েছে। এটা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। চারমাসের দীর্ঘ প্রক্রিয়া। অবশেষে সফল প্রতিস্থাপন। ভাল আছে ছোট্ট জিনিয়া। ভাল আছে তার একরত্তি ভাই রায়ান। জীবন ও মৃত্যু আল্লার হাতে। যদি তাঁর ইচ্ছা হয়, সেটাই আমাদের কাছে সবচেয়ে বড় আশা ছিল। আল্লার দোয়া পেয়েছি আমরা। রক্তপরীক্ষার পর দেখা গিয়েছে, আমাদের মেয়ে এখন ভাল আছে। রাজনৈতিক ভেদাভেদ বুঝতে চান না ওঁরা। ওঁদের ছোট্ট ছোট্ট ছেলেমেয়ে আজ ভাল আছে। এটাই এখন ওঁদের জীবনের সবচেয়ে ভাল সময়। ভারতীয় চিকিত্সকদের তাই দুহাত তুলে আশীর্বাদ করছেন জিনিয়া-রায়ানের বাবা-মা।


আরও পড়ুন  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করে বেনজির আক্রমণ বিজেপি সভাপতি অমিত শাহর