`মাছে-ভাতে বাঙালি`কে নিয়ে বেফাঁস পরেশ রাওয়াল! বিতর্ক বাড়তেই চাইলেন ক্ষমা
রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের প্রসঙ্গ টেনে পরেশ রাওয়াল বলেন, `মুদ্রাস্ফীতির সমস্যা গুজরাটের মানুষ সহ্য করতে পারে। কিন্তু যদি দিল্লির মতো রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশিরা আপনার বাড়ির পাশে থাকতে শুরু করে তাহলে গ্যাস সিলিন্ডার দিয়ে কী হবে? বাঙালিদের জন্য মাছ রান্না করবেন?’
জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গুজরাটে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে বেফাঁস মন্তব্য আগেই করেছিলেন। এবার চাপের মুখে ক্ষমা চাইলেন অভিনেতা। রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের প্রসঙ্গ টেনে পরেশ রাওয়াল বলেন, ‘গ্যাস সিলিন্ডারের দাম বাড়লে তা আবারও সস্তা হয়ে যাবে। যদি মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পায়, তা কমে যাবে। মানুষ চাকরিও পাবেন। মুদ্রাস্ফীতির সমস্যা গুজরাটের মানুষ সহ্য করতে পারে। কিন্তু যদি দিল্লির মতো রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশিরা আপনার বাড়ির পাশে থাকতে শুরু করে তাহলে গ্যাস সিলিন্ডার দিয়ে কী হবে? বাঙালিদের জন্য মাছ রান্না করবেন?’
আরও পড়ুন, ভাইপোর পাশে দাঁড়ানোর মাশুল দিতে হবে শিবপালকে! কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন যোগী?
তবে সমালোচনার মুখে ক্ষমা চেয়ে নিলেন অভিনেতা। এদিন ট্যুইট করে তিনি বলেন, 'মাছটা কোনও ইস্যু নয়, কারণ গুজরাটিরাও মাছ রান্না করে এবং খায়। বাঙালি বলতে আমি বোঝাতে চেয়েছি রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের। কিন্তু যদি এই মন্তব্য আপনাদের ভাবাবেগে আঘাত করে তার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী।' প্রসঙ্গত, গুজরাটের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভালসাদে বিজেপির হয়ে প্রচারে আসেন পরেশ রাওয়াল।
যদিও পরেশের এই মন্তব্য জাতিবিদ্বেষমূলক বলে দাবি করেছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তৃণমূল সাংসদ কীর্তি আজাদ কটাক্ষ করে বলেন, ‘বাবু ভাই আপনি তো এরকম ছিলেন না!' কীর্তি দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দিকে আঙুল তুলে বলেছেন, এত অনুপ্রবেশ ভারতে হলে ধরে নিতে হবে অমিত শাহ ঠিক করে কাজ করছেন না। তার মানে আপনি বলতে চাইছেন বিএসএফের কাজে গাফিলতি রয়েছে?
বেশ কয়েকটি ব্লকবাস্টার ছবিতে তাঁর কমিক টাইমিংয়ের জন্য পরিচিত জনপ্রিয় এই বলিউড অভিনেতা আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালকেও টার্গেট করেছেন। কেজরিওয়ালকে নিশানা করে পরেশ বলেন, উনি ব্যক্তিগত বিমানে আসবেন এবং তারপর রিকশায় বসে থাকবেন। আমরা সারা জীবন অভিনয় করেছি, কিন্তু এমন ‘অভিনেতা’ দেখিনি।
উল্লেখযোগ্যভাবে, গুজরাটে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেওয়ার জন্য ভারতীয় জনতা পার্টি, কংগ্রেস এবং আম আদমি পার্টি-সহ রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে একটি প্রতিযোগিতা রয়েছে। ক্ষমতাসীন বিজেপি, রাজ্যে ২৭ বছরের দীর্ঘ শাসন বজায় রাখার বিষয়ে আস্থা প্রকাশ করছে। অন্যদিকে, কংগ্রেস তাদের দ্বিতীয় স্থান বাঁচাতে মরিয়া। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আপ আবার প্রতিষ্ঠান বিরধিতাকে হাতিয়ার করে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন, লুধিয়ানা কোর্ট বিস্ফোরণকাণ্ডে গ্রেফতার হরপ্রীত, মালয়েশিয়া থেকে ফিরতেই NIA এর জালে