লোকসভাতেও `আপ` ম্যাজিকের অপেক্ষায় দেশ, বলছে সমীক্ষা

দিল্লি বিধানসভার পর এবার কি লোকসভা ভোটেও সবাইকে টেক্কা দিতে পারবে আম আদমি পার্টি? জাতীয় রাজনীতিতে এই মুহুর্তে সবচেয়ে বেশি আলোচনা-বিতর্ক এই প্রশ্নেই। সমীক্ষার ফল বলছে, বেশিরভাগ মানুষ চাইছেন, ভোটে লড়ুক আপ। অনেকেরই প্রধানমন্ত্রী পদে পছন্দের প্রার্থী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। যদিও এক্ষেত্রে এক নম্বর জায়গা এখনও নরেন্দ্র মোদীর দখলে। তবে কেজরিওয়ালের বাড়তে থাকা জনপ্রিয়তা কংগ্রেস-বিজেপি দুদলেরই কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। আত্মপ্রকাশেই বাজিমাত। দিল্লি বিধানসভায় আম আদমি পার্টির ঝাড়ুর ধাক্কায় বেসামাল কংগ্রেস, বিজেপি। এবার জাতীয় রাজনীতিতেও বড়সড় ধাক্কা দেওয়ার প্রস্তুতি আপ শিবিরে। আসন্ন লোকসভা ভোটে আপ-এর ফল কি হবে তা নিয়ে ইতিমধ্যে চুলচেরা বিশ্লেষণ শুরু হয়ে গেছে।

Updated By: Jan 9, 2014, 06:40 PM IST

দিল্লি বিধানসভার পর এবার কি লোকসভা ভোটেও সবাইকে টেক্কা দিতে পারবে আম আদমি পার্টি? জাতীয় রাজনীতিতে এই মুহুর্তে সবচেয়ে বেশি আলোচনা-বিতর্ক এই প্রশ্নেই। সমীক্ষার ফল বলছে, বেশিরভাগ মানুষ চাইছেন, ভোটে লড়ুক আপ। অনেকেরই প্রধানমন্ত্রী পদে পছন্দের প্রার্থী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। যদিও এক্ষেত্রে এক নম্বর জায়গা এখনও নরেন্দ্র মোদীর দখলে। তবে কেজরিওয়ালের বাড়তে থাকা জনপ্রিয়তা কংগ্রেস-বিজেপি দুদলেরই কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। আত্মপ্রকাশেই বাজিমাত। দিল্লি বিধানসভায় আম আদমি পার্টির ঝাড়ুর ধাক্কায় বেসামাল কংগ্রেস, বিজেপি। এবার জাতীয় রাজনীতিতেও বড়সড় ধাক্কা দেওয়ার প্রস্তুতি আপ শিবিরে। আসন্ন লোকসভা ভোটে আপ-এর ফল কি হবে তা নিয়ে ইতিমধ্যে চুলচেরা বিশ্লেষণ শুরু হয়ে গেছে।

এই সমস্ত প্রশ্ন নিয়েই টাইমস অফ ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে সম্প্রতি এক সমীক্ষা করা হয়। যার ফল বলছে,

প্রধানমন্ত্রী পদে এমুহুর্তে দেশের এক নম্বর পছন্দ নরেন্দ্র মোদী। দু-নম্বরে উঠে এসেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আর তিন নম্বর স্থানের দখল নিয়েছেন কংগ্রেসের যুবরাজ রাহুল গান্ধী।শতকরা হিসেবে, মোদীকে প্রধানমন্ত্রী পদে দেখতে চাইছেন আটান্ন শতাংশ মানুষ।
২৫% শতাংশ মানুষ কেজরিওয়ালকে দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে চাইছেন। মাত্র ১৪% পছন্দ রাহুল গান্ধী। বিজেপি অবশ্য এই সমীক্ষায় কোনও বিপদ সঙ্কেত দেখতে নারাজ।

লোকসভা ভোটে আপ কত আসনে জিতবে তা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। ২৫% মতে, কমপক্ষে ২৫টি আসন আপের ঝুলিতে যাবে। ২৬% মানুষ মনে করছেন, ২৬ থেকে ৫০টি আসন পেতে পারে আপ। ৩৩%শ মানুষের মত, ৫১ থেকে ১০০টি আসন যেতে পারে কেজরিওয়ালদের ঝুলিতে। ১০০টিরও বেশি আসন পাবে আপ। এই মত ১১%। আর পাঁচ শতাংশের মত, লোকসভা ভোটে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে আম আদমি পার্টি।

আপের কেউ আপনার এলাকায় প্রার্থী হলে তাঁকে কি আপনি ভোট দেবেন? এই প্রশ্নে ৪৪% মানুষ বলছেন, তাঁরা আপ প্রার্থীকেই ভোট দেবেন। ২৩% আপকে ভোট দিতে নারাজ। আর ২৭% মত, প্রার্থী কে তা দেখেই ভোট দেবেন তাঁরা।

তবে দেশের বেশিরভাগ মানুষই যে আপকে জাতীয় রাজনীতিতে দেখতে চাইছেন, তা স্পষ্ট। ৮১% শতাংশ মানুষ এর পক্ষে মত দিয়েছেন।

আপ-এর আত্মপ্রকাশ অনেক দলেরই রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। ৩১% মানুষ বলছেন, আপ আসায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে বিজেপির। কংগ্রেসের জন্য অশনিসঙ্কেত দেখছেন ২৬% মানুষ। কংগ্রেস-বিজেপি দু দলেরই সমান ক্ষতি হবে বলে মত ২৬%-এর।

সমীক্ষায় নজরকাড়া ফল আপের। কিন্তু ভোটবাক্সে কি হবে? ভবিষ্যত নিয়ে আপ নেতারা যথেষ্টই আত্মবিশ্বাসী।

বিধানসভা ভোটের পর এবার লোকসভাতেও কি তাহলে আপ ম্যাজিক কাজ করবে? করলেও কতটা? এর জবাব পেতে আরও কয়েক মাস অপেক্ষা করতে হবে। তবে এর মধ্যে কেজরিওয়াল অ্যান্ড কোম্পানির জনপ্রিয়তা যে বাকি দলগুলির রাতের ঘুম ওড়াতে চলেছে, এনিয়ে সন্দেহ নেই রাজনৈতিক মহলের।

.