শান্তির বার্তা দিয়ে অশান্ত দিল্লি নিয়ে শেষমেশ মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী
গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল এবং উপ রাজ্যপাল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়, হিংসা নিয়ন্ত্রণে সব ধরনের সাহায্য করা হবে। ৪৫ কোম্পানি আধা সেনা রয়েছে ঘটনাস্থলে
নিজস্ব প্রতিবেদন: অবশেষে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী। অশান্ত দিল্লিতে শান্তির বার্তা দিয়ে টুইট করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি টুইটে জানান, শান্তি এবং একতা বজায় রাখা আমাদের প্রধান কর্তব্য। দিল্লির ভাই-বোনেদের অনুরোধ শান্তি এবং ভ্রাতৃত্ব বজায় রাখুন। দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় পরিস্থিতি গভীরভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শান্তি ফেরাতে গ্রাউন্ড জিরোয় দাঁড়িয়ে পুলিস এবং অন্যান্য এজেন্সি কাজ করে চলছে।
উল্লেখ্য, বুধবারও হিংসা অব্যাহত। বিশেষ করে উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এখনও পর্যন্ত হিংসা মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের। জখম দেড়শোর বেশি। অনেক পুলিস কর্মীও আহত হয়েছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আইবি অফিসার অঙ্কিত শর্মার মৃতদেহ মিলেছে চাঁদবাগ থেকে।
Peace and harmony are central to our ethos. I appeal to my sisters and brothers of Delhi to maintain peace and brotherhood at all times. It is important that there is calm and normalcy is restored at the earliest.
— Narendra Modi (@narendramodi) February 26, 2020
Had an extensive review on the situation prevailing in various parts of Delhi. Police and other agencies are working on the ground to ensure peace and normalcy.
— Narendra Modi (@narendramodi) February 26, 2020
গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল এবং উপ রাজ্যপাল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়, হিংসা নিয়ন্ত্রণে সব ধরনের সাহায্য করা হবে। ৪৫ কোম্পানি আধা সেনা রয়েছে ঘটনাস্থলে। বিরোধীদের প্রশ্ন, এখনও পর্যন্ত কেন সেনা নামানো হচ্ছে না। দিল্লির হিংসা সামাল দিতে সেনা নামানোর দাবি জানালেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। হিংসা থামাতে ধরনায় বসার পর বুধবার তিনি টুইট করেন, পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। অনেকের সঙ্গে কথা বলেছি। চেষ্টা সত্বেও পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হয়েছে দিল্লি পুলিস। অবিলম্বে অন্যান্য এলাকায় কারফিউ জারি করা ও সেনা নামানো উচিত। এনিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখব।
আরও পড়ুন- দিল্লির হিংসায় খুন আইবি অফিসার, চাঁদ বাগের ড্রেন থেকে উদ্ধার মৃতদেহ
উল্লেখ্য, আধাসেনা নামলেও বুধবার নতুন করে হিংসা ছড়িয়েছে গোকুলপুরী, মোস্তফাবাদে। গোকুলপুরীতে বেশ কয়েকটি দোকানে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। মোস্তাবাদের বস্তিতে ছোড়া হয়েছে পাথর।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের ভার দেওয়া হয়েছে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের ওপরে। পাশাপাশি দিল্লি হিংসা নিয়ে হওয়া এক মামলায় দিল্লি হাইকোর্টে বলেছে, আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে দিল্লি পুলিসকে সব ব্যবস্থা করতে হবে। সুপ্রিম কোর্টেও দিল্লির পুলিসের ভূমিকার সমালোচনা করেছে। বলা হয়েছে, কেউ উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখলে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে পুলিসকে। এর জন্য কারও অপেক্ষা করতে হবে না। পুলিস আগেই ব্যবস্থা নিলে পরিস্থিতি অন্যরকম হতো।