রাজনৈতিক হিংসায় অশান্ত উত্তরপ্রদেশ, দায় এড়ালেন অখিলেশ

নির্বাচনের ফল বেরোতে না বেরোতেই অশান্ত হয়ে উঠল উত্তরপ্রদেশ। উত্তরপ্রদেশের সীতাপুর জেলার একটি গ্রামে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠেছে সমাজবাদী পার্টির বিরুদ্ধে। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বহু ঘরবাড়ি।

Updated By: Mar 9, 2012, 08:46 AM IST

নির্বাচনের ফল বেরোতে না বেরোতেই অশান্ত হয়ে উঠল উত্তরপ্রদেশ। উত্তরপ্রদেশের সীতাপুর জেলার একটি গ্রামে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠেছে সমাজবাদী পার্টির বিরুদ্ধে। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বহু ঘরবাড়ি। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া সমাজবাদী পার্টিকে ভোট না দেওয়াতেই ওই গ্রামে হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। অন্যদিকে আম্বেদকরনগরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে এসপি এবং বিএসপি সমর্থকেরা। বিএসপির প্রাক্তন এক মন্ত্রীর ছেলে গুলি চালানোতেই সংঘর্ষের সূত্রপাত বলে অভিযোগ এসপি কর্মীদের।
কিছুদিন আগেই উত্তরপ্রদেশের সীতাপুর জেলার রেওসা এলাকার বাম্বিয়া গ্রামের দলিত মহল্লায় গিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। সে সময় তি নি এলাকাবাসীর থেকে উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়েছিলেন। আর সেই আক্রোশ থেকেই ভোটের ফল বের হওয়ার পর গ্রামের বহু বাড়ি সমাজবাদী পার্টি কর্মীরা জ্বালিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। বহু গ্রামবাসীকে মারধর করারও অভিযোগ উঠেছে এসপি-র বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেওসার স্টেশন অফিসার প্রমোদ শুক্লা।
এর আগে ভোটের ফল প্রকাশের পর সম্ভলে সমাজবাদী কর্মীদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল এক কিশোরের। আগ্রায় বিরোধী দলের সমর্থকদের উপর হামলারও অভিযোগ উঠেছে সপা-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এই পরিস্থিতিতে উত্তরপ্রদেশের ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কংগ্রেস। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রীপ্রকাশ জওসওয়ালের অভিযোগ, অখিলেশ যাদব গুণ্ডারাজ-এর অবসানের অঙ্গীকার করলেও কার্যক্ষেত্রে উল্টো আচরণ করছেন সপা`র স্থানীয় স্তরের নেতারা।

অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশের আম্বেদকর নগরে বৃহস্পতিবার বিকেলে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে সমাজবাদী পার্টি এবং বিএসপির সমর্থকরা। বিএসপির প্রাক্তন মন্ত্রী রামআঁচল রাজভরের ছেলেই প্রথমে এসপি কর্মীদের উপরে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। পাল্টা হামলা চালায় সমাজবাদী পার্টি কর্মীরাও। এরপর মারমুখী সপা কর্মীদের দাপটে বিএসপি সমর্থকরা পিছু হটলে রাজভরের চালকল জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।
যদিও সমাজবাদী পার্টির রাজ্য সভাপতি অখিলেশ যাদব তাঁর দলের কর্মীদের বিরুদ্ধে গুণ্ডারাজ' কায়েমের চেষ্টার কথা স্বীকার করেননি। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, সপা'কে হেয় করতেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে অশান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে। গত ৬ মার্চ বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকে উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হওয়া রাজনৈতিক হিংসা ঠেকাতে নতুন সরকার সক্রিয়তা দেখাবে দাবি করে মুলায়ম-তনয় বলেন, আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রয়োজনে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

.