কোন কোন ক্ষমতা প্রণবের হাতে

দেশের ত্রয়োদশ রাষ্ট্রপতি হিসাবে সদ্য শপথ নিয়েছেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। সাংবিধানিক সর্বোচ্চপদে আসীন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রাজনীতির আঙিনা থেকে অনেকটাই দূরে সরে গেছেন তিনি। তবে, সাংবিধানিক প্রধান হিসাবে বহু ক্ষমতার অধিকারী হলেন রাষ্ট্রপতি।

Updated By: Jul 25, 2012, 05:37 PM IST

দেশের ত্রয়োদশ রাষ্ট্রপতি হিসাবে সদ্য শপথ নিয়েছেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। সাংবিধানিক সর্বোচ্চপদে আসীন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রাজনীতির আঙিনা থেকে অনেকটাই দূরে সরে গেছেন তিনি। তবে, সাংবিধানিক প্রধান হিসাবে বহু ক্ষমতার অধিকারী হলেন রাষ্ট্রপতি।
ভারতীয় সংবিধানের ৫৩ নম্বর ধারায় রয়েছে, দেশের যাবতীয় বিষয় সম্বন্ধেই অবগত থাকবেন রাষ্ট্রপতি। সেই কারণেই নির্দিষ্ট সমায়ন্তর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে যাবতীয় বিষয় তাঁকে জানান প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী বা অন্যান্য মন্ত্রীদেরও প্রয়োজনে পদ থেকে সরানোর ক্ষমতা রয়েছে রাষ্ট্রপতির হাতে। সু্প্রিমকোর্ট, হাইকোর্টের বিচারপতি নিয়োগ, রাজ্যপাল, অ্যাটর্নি জেনারেল, কম্পট্রোলার এন্ড অডিটার জেনারেল, মু্খ্য কমিশনার এমনকী নির্বাচনের কমিশনের প্রতিনিধি নিয়োগও রাষ্ট্রপতির সম্মতিতেই হয়।
এরসঙ্গেই বেশকিছু সাংবিধানিক ক্ষমতাও ভোগ করেন রাষ্ট্রপতি। রীতিমাফিক রাষ্ট্রপতির ভাষণ দিয়ে শুরু হয় বাজেট অধিবেশন। অধিবেশন চলাকালীন কোনও জটিলতা দেখা দিলে তা দূর করতে যৌথ অধিবেশন ডাকতে পারেন রাষ্ট্রপতি। নতুন কোনও রাজ্য বা পরিষদ গঠনের আগে রাষ্ট্রপতির সম্মতিগ্রহণ জরুরি। কোনও বিল সংসদে পাস হলে তা আইনে পরিণত করার জন্যও রাষ্ট্রপতির অনুমোদন প্রয়োজন। যখন অধিবেশন চলছে না, সেই সময় কোনও অর্ডিন্যান্স আনতে গেলেও রাষ্ট্রপতির সম্মতি প্রয়োজন। ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক দেশের রাষ্ট্রপতি। সশস্ত্রবাহিনীর ৩ শাখা-সেন, নৌ, বিমান বাহিনীর শীর্ষ আধিকারিকদের নিয়োগ করেন তিনি। দেশ যুদ্ধ ঘোষণা করলে এবং যুদ্ধের সমাপ্তি পর্বেও রাষ্ট্রপতির নাম উচ্চারিত হয়।

সাংবিধানিক ক্ষমতা ছাড়াও কূটনৈতিক ক্ষেত্রেও বড় ভূমিকা পালন করেন রাষ্ট্রপতি। বিচারবিভাগীয় ক্ষমতাও ন্যস্ত করা হয়েছে রাষ্ট্রপতির হাতে। চরম শাস্তি যেমন মৃত্যুদণ্ড, মকুব করতে পারেন রাষ্ট্রপতি। দেশের অর্থ কমিশনের রিপোর্ট গ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি। দেশের আপত্‍কালীন তহবিল রাষ্ট্রপতির আওতায় থাকে। এছাড়াও সংবিধান অনুযায়ী আরও কিছু ক্ষমতা রয়েছে রাষ্ট্রপতির হাতে। দেশের পরিস্থিতি বিচার করে তিনিই জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। শুধু দেশের জরুরি অবস্থাই নয়, আর্থিকভাবে জরুরি পরিস্থিতিও তৈরি হতে পারে দেশে বা কোনও রাজ্যে। সেক্ষেত্রেও বড়ধরনের ভূমিকা থাকে রাষ্ট্রপতির। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতি রাজ্য সরকারকে খরচখরচার ওপর নজর রাখার নির্দেশ দেন।
সাংবিধানিক রীতি অনুযায়ীই রাষ্ট্রপতি পদে শপথ নেওয়ার পর এই সব ক্ষমতার অধিকারি হলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়।

.