কোলাপুরের দুই বোনের প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ রাষ্ট্রপতির, প্রথম মহিলা অপরাধীর ফাঁসি হতে চলেছে দেশে
সম্পর্কে তারা দুই বোন। আজ থেকে ১৩ বছর আগে ২০০১ সালে ১৩টি শিশুকে অপহরণ ও ৯টি শিশুকে খুন করার অপরাধে ফাঁসির আদেশ হয় তাদের। শনিবার তাদের প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ করে দিয়ে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি বলেন, মহারাষ্ট্র সরকার যেন অপরাধী রেনুকা কিরণ শিন্ডে ও সীমা মোহন গভিতের ফাঁসির আদেশ দ্রুত কার্যকর করে।
তাদের মা অঞ্জানবি গাভিতের সহযোগিতায় রেনুকা ও সীমা ১৩টি শিশুকে অপহরণ করে ভিক্ষাবৃত্তির কাজে ব্যবহার করতে শুরপ করে। পরে তাদের ৯ জনকে মাথায় রডের বাড়ি মেরে হত্যা করে। আপাতত পুনের ইয়েরওয়াড়া জেলে বন্দি রয়েছে তারা। বন্দিদশাতেই মৃত্যু হয়েছে অঞ্জানবির। ২০০১ সালে তাদের ফাঁসির সাজা শুনিয়ে কোলাপুর আদালতের বিচারপতি জি এল ইয়েড়কে বলেন, অন্তত নৃশংস ভাবে ওই ৯ শিশুকে খুন করেছে অপরাধীরা।
স্বাধীনতার পর থেকে সরকারি হিসেব অনুযায়ী দেশে মোট ৫২ জনের ফাঁসি হয়েছে। যদিও, বেসরকারি হিসেবে এই সংখ্যা অনেকটাই বেশি। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও মহিলার ফাঁসি হওয়ার ইতিহাস নেই দেশে।
এই দুই বোন ছাড়াও এ দিন রাজেন্দ্র ওয়াসনিক নামে আরও এক ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আসামীর প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ করে দেন রাষ্ট্রপতি। ২০০৭ সালের মার্চ মাসে অমরাবতীতে ৩ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ ও খুনের দায়ে ফাঁসির সাজা হয় রাজেন্দ্রর। এই মুহূর্তে মহারাষ্ট্রে ২৪ জন ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আসামী রয়েছে। এদের মধ্যে শক্তি মিলস গণধর্ষণ কাণ্ডের ৩ অপরাধীও রয়েছে। ২৪ জন আসামীকে পুনের ইয়েরওয়াড়া ও নাগপুর জেলে রাখা হয়েছে।