নিজস্ব প্রতিবেদন- লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তাক করে তোপ দাগলেন র-এর প্রাক্তন প্রধান এ এস দুলাত। পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলা নিয়ে তাঁর বক্তব্য, ''এরকম কিছু একটা তো হওয়ারই কথা ছিল। পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে হামলা মোদী ও বিজেপি সরকারকে দেওয়া জঈশের উপহার। লোকসভা নির্বাচনের আগে এরকম কিছু একটা যে হতে পারে তা বোঝা যাচ্ছিল। ফলে সার্জিকাল স্ট্রাইক হওয়াটাও স্বাভাবিক ব্যাপার। সবটাই নির্বাচনের আগে ঘটত। ঘটলও।''


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  ভিডিয়ো: আর ৭২ হাজার নয়, গরিবদের বছরে কোটি টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রাহুলের!


পুলওয়ামায় হামলার পর কেন্দ্রীয় সরকারের পাকিস্তানবিরোধী পদক্ষেপ নিয়ে দুলতের বক্তব্য, ''দেশাত্মবোধ একটা বড় ব্যাপার। দেশপ্রেম নিয়ে এতটা কচকচানি ঠিক নয়। কারও মধ্যে দেশপ্রেম থাকাটা জরুরি। কিন্তু সেটা প্রয়োজনের খাতিরে অতিরিক্ত জাহির করে ফেললে মুশকিল। সংকীর্ণ ক্ষেত্রে দেশপ্রেম প্রদর্শন কিন্তু অতীতেও একাধিকবার যুদ্ধ ডেকে এনেছে। দেশপ্রেম নিয়ে একের পর এক উস্কানিমূলক মন্তব্য আমাদের সমাজের ভারসাম্য নষ্ট করছে। এটা বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। দেশপ্রেমের মোড়কে যে ব্যবসা চলছে চারপাশে সেটা আমাদের খুব খারাপ একটা জায়গায় নিয়ে দাঁড় করাতে পারে।'' 


আরও পড়ুন-  ‘উনি চোখ মারতে ওস্তাদ’, রাহুলকে কটাক্ষ বিজেপি নেতা মহেশ শর্মার



কাশ্মীর ও পাকিস্তান ইস্যুতে ভারতের এই মুহূর্তে ঠিক কী করা উচিত তাও বললেন র-এর প্রাক্তন কর্তা। তাঁর মত, ''কথা বলা ছাড়া আর কোনও রাস্তা নেই। কাশ্মীরিদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। পাকিস্তানের সঙ্গে কথা বলতে হবে। জঙ্গি দমনে একজোট হওয়া ছাড়া কোনও পথ নেই।'' ৬০ বছরের বেশি সময় ধরে কাশ্মীর অশান্ত। এর কি আদৌ কোনও সমাধান রয়েছে? দুলাতের বক্তব্য, ''ড. মনমোহন সিং চেষ্টা করেছিলেন। পারভেজ মুশারফ ও তিনি একটি চুক্তিতে সই করার জন্য উদ্যোগী হয়েছিলেন। কিন্তু সেটা শেষ পর্যন্ত হয়নি। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সেই শান্তির চুক্তি হয়ে গেলে কাশ্মীর অন্তত আগামী ১৫ বছর শান্ত থাকত।''