PM’s Security Lapse: প্রধানমন্ত্রীর কনভয়কাণ্ডে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে রিপোর্ট জমা পঞ্জাব সরকারের!

নিজস্ব প্রতিবেদন: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে জমা পড়ল পঞ্জাব সরকারের রিপোর্ট। হঠাত ও স্বতঃস্ফূর্ত বিক্ষোভ হওয়ায় তা এড়ানো যায়নি এমনটাই বলা হয়েছে রিপোর্টে। সরকার একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট জমা দেবে তারা। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিস ব্যবস্থা নেবে বলেও জানানো হয়েছে। 

প্রধানমন্ত্রীর কনভয় আটকে থাকার ঘটনায় পঞ্জাব সরকার শুক্রবার রিপোর্ট জমা দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে। রিপোর্ট বলা হয়েছে যে বিক্ষোভের কারনে প্রধানমন্ত্রীর কনভয় আটকে যায় তা হঠাত এবং স্বতঃস্ফূর্তভাবে শুরু হয়। পূর্বপরিকল্পিত বিক্ষোভ না হওয়ায় এই বিক্ষোভ এড়ানো সম্ভব হয়নি। এছাড়াও এই ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কার দায়িত্ব ছিল অথবা কে ব্যর্থ হয়েছে দায়িত্ব পালনে সেই প্রশ্নের উত্তর পঞ্জাব সরকারের জমা দেওয়া রিপোর্টে আসেনি। এক্ষেত্রে বলা হয়েছে যে পঞ্জাব সরকার দুইজন সদস্য বিশিষ্ট একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এবং এই কমিটি ৭২ ঘণ্টায় রিপোর্ট জমা দেবে। রিপোর্টে যার বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পঞ্জাব সরকার তৈরি রয়েছে।    

পঞ্জাবে প্রধানমন্ত্রীর কনভয় আটকে থাকার ঘটনায় বৃহস্পতিবার উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে পঞ্জাব সরকার। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগ ওঠে পঞ্জাব সরকারের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের ঘটনায় এই তদন্ত কমিটি গঠন  করা হয়। 

অন্যদিকে, বৃহস্পতিবারই কনভয় আটকানোর ঘটনায় তদন্ত কমটি গঠন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (Ministry of Home Affairs)। তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন ক্যাবিনেট সেক্রেটারিয়েটের সচিব (নিরাপত্তা) সুধীর সাক্সেনা। এছাড়াও এই কমিটিতে রয়েছেন আইবি-র জয়েন্ট ডিরেক্টর বলবীর সিং এবং এসপিজি-র আইজি এস সুরেশ। 

প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় গাফিলতির যে অভিযোগ উঠছে তা তদন্ত করে দেখবে ওই কমিটি। পাশাপাশি, ঘটনার দিনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কেমন ছিল সেটাও খতিয়ে দেখবে তারা। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) কনভয় যে ফ্লাইওভারে আটকে ছিল, সেখান থেকে কিছু দূরেই পাকিস্তান সীমান্ত। প্রধানমন্ত্রীর মতো দেশের অত্যতম ভিভিআইপি-র কনভয় কীভাবে ১৫ থেকে ২০ মিনিট আটকে রইল, সেই বিষয়েও তদন্ত করবে কমিটি।