রাজীব চক্রবর্তী: বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে আরজি কর মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। সেইদিকে তাকিয়েই দ্বিতীয় দফার রাত দখল কর্মসূচি নেন বাংলার প্রতিবাদী জনসমাজ। যদিও আন্দোলন পুরোদমে চললে আগামীকাল সুপ্রিম শুনানি হচ্ছে না। কারণ হিসাবে জানা গিয়েছে, প্রধান বিচারপতি ছুটিতে থাকায় তাঁর সরাসরি নজরদারিতে থাকা কোনও মামলারই শুনানি হবে না। পরের তারিখ ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত থাকবে স্থগিত। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- Kangana Ranaut: 'কোর্টই জিতে গেল!', বিতর্কিত 'ইমারজেন্সি' মুক্তি নিয়ে অগুনতি জটে কোণঠাসা কঙ্গনা...


আর জি কর কাণ্ডে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে সুপ্রিম কোর্ট। প্রথম দিনের শুনানিতেই এই মামলায় পুলিসি ভূমিকায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন সুপ্রিমকোর্টের বিচচারপতি। ঘটনার ১৪ ঘণ্টা পর কেন এফআইআর, প্রশ্ন তোলে আদালত। যেভাবে গোটা মামলায় পুলিস এগিয়েছে, তিরিশ বছরের কর্মজীবনে তা দেখেননি, মন্তব্য করেন বিচারপতি পার্দিওয়ালার। এএসপির ভূমিকা সন্দেহজনক। পর্যবেক্ষণ সুপ্রিমকোর্টের। ক্রাইম সিন নষ্ট করার চেষ্টা হয়েছে বলে দাবি সলিসিটার জেনারেলের। সূত্রের খবর, একই দাবি সিবিআই স্টেটাস রিপোর্টেও। 


আরজি কর কাণ্ড নিয়ে একগুচ্ছ প্রশ্ন তোলে বিচারপতি চন্দ্রচূড়, বিচারপতি পার্দিওয়ালা ও বিচারপতি মিশ্রার ডিভিশন বেঞ্চ। বিশেষ করে অভিযোগ দায়ের ও পুলিসের ভূমিকা নিয়ে। আদালতের শুনানিতে উঠে আসে, ক্রাইম সিন নষ্টের চেষ্টা করা হয়েছে। শুনানিতে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সলিসিটর জেনারেলের। একই বিষয়ের উল্লেখ সিবিআই রিপোর্টেও। তথ্য প্রমাণ লোপাটের আশঙ্কা। 


একজন ডাক্তার জানবে না কোনটা মৃতদেহ? প্রশ্ন সলিসিটর জেনারেলের। বিস্ময় প্রকাশ সুপ্রিম কোর্টের। ঘটনার ১৪ ঘণ্টা পর এফআইআর হল কেন ? প্রধান বিচারপতি। অধ্যক্ষ পদত্যাগের পরই অন্য হাসপাতালে নিয়োগ কেন? ময়নাতদন্তের পর কেন অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ? প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের। সকাল ১০টা ১০-এ জিডি করা হয়। সন্ধে ৭টা ১০-এ ময়নাতদন্ত শেষ হয়। রাত সাড়ে ১১টায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ দায়ের। রাত ১১টা ৪৫-এ  এফআইআর করা হয় বললেন সলিসেটর জেনারেল। থানায় ফেরার পর এফআইআর করেন পুলিস আধিকারিক। আদালতে পাল্টা জানায় রাজ্য। এরপরেই পরবর্তীর শুনানির দিন ঘোষণা করা হয় ৫ সেপ্টেম্বর। তবে তার আগেই এল বিশেষ ঘোষণা। জানা গেল যে ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের অনুপস্থিতির কারণেই পিছিয়ে গেল শুনানি। 


আরও পড়ুন- Jeetu Kamal on Aparna Sen: অপর্ণা সেন এখন 'চোখের বালি'! 'কত খরচে তুমি আমার?' প্রশ্ন তুললেন জীতু...



প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার গ্রেফতার করা হয়েছে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে। সিবিআইয়ের সেই গ্রেফতারির ২৪ ঘণ্টা পর বুধবার সন্দীপ ঘোষকে সাসপেন্ড করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্য ভবনের তরফে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে ফৌজদারি তদন্ত চলছে। এরপরেই নিয়ম অনুযায়ী অধ্যাপক ঘোষকে সাসপেন্ড করা হয়। বুধবার তাঁকে আলিপুর  আদালতে তোলা হয়। আদালত তাকে ৮ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। আদালতে সিবিআইয়ের তরফে বলা হয় তারা সন্দীপ ঘোষকে ১০ দিনের জন্য হেফাজতে চান। কারণ তাঁকে জেরা অনেক গোপন তথ্য উঠে আসবে। অভিযুক্তদের সঙ্গে আরও অনেকে জড়িয়ে রয়েছে। সেক্ষেত্রে ওই ৪ জনকে যদি জেরা করা যায় তাহলে আরও তথ্য পাওয়া যাবে। আরও অনেককে গ্রেফতার করা যাবে। কারণ অপরাধের পরিধি অনেকটাই বড়। সন্দীপ ঘোষের আইনজীবী বলেন সবসময় তারা সিবিআইকে সহযোগিতা করে গিয়েছেন। প্রত্যেক দিনই সন্দীপ ঘোষ সিবিআই দফতরে যেতেন। তাদের সহযোগিতা করে গিয়েছেন। ভবিষ্যতেও করবেন। ওই সওয়াল জবাব শোনার পর সন্দীপ ঘোষ ও বাকী ৩ জনকে  ৮ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)