দুর্ঘটনার দশেরা, পাটনায় পদপিষ্ঠ হয়ে মৃত ৩২

৩২ জনের মধ্যে বেশিরভাগই মহিলা আর শিশু। বিহারের গান্ধী ময়দানের দশেরার সন্ধেটা নিমেশে বদলে গেল কান্না আর অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেনে বদলে গেল। শুক্রবার পাটনায় দশেরা অনুষ্ঠান চলাকালীন পদপিষ্ঠ হয়ে মৃত হয়েছে ৩২ জনের।

Updated By: Oct 4, 2014, 11:15 AM IST
দুর্ঘটনার দশেরা, পাটনায় পদপিষ্ঠ হয়ে মৃত ৩২

পাটনা: ৩২ জনের মধ্যে বেশিরভাগই মহিলা আর শিশু। বিহারের গান্ধী ময়দানের দশেরার সন্ধেটা নিমেশে বদলে গেল কান্না আর অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেনে বদলে গেল। শুক্রবার পাটনায় দশেরা অনুষ্ঠান চলাকালীন পদপিষ্ঠ হয়ে মৃত হয়েছে ৩২ জনের।

গান্ধী ময়দানে "রাবণ বধ'  দেখতে থিক থিকে ভির। দশানন তখনও পুরোটা পুরে যাননি। বাড়ি ফিরতি জনতা। তখনই ঘটে অঘটন।  

দশেরা উত্‍সব চলাকালীন পাটনার গান্ধী ময়দানে পদপিষ্ট হয়ে প্রাণ হারালেন অন্তত ৩২ জন। যার মধ্যে কুড়িজন মহিলা ও ছটি শিশু। জখম শতাধিক। তাঁদের পাটনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অনেকেরই অবস্থা গুরুত। ফলে মৃতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী জিতেন রাম মাঝি।

প্রতি বছরের মত এবছরও দশেরা উত্‍সবের আয়োজন করা হয়েছিল পাটনার গান্ধী ময়দানে। রাবণ বধ দেখতে শুক্রবার সন্ধ্যায় সেখানে ভিড় করেছিলেন কমপক্ষে পঞ্চাশ হাজার মানুষ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী জিতেন রাম মাঝি সহ মন্ত্রিসভার অনেক সদস্যই। অভিযোগ, হঠাত্‍ই গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে বিদ্যুতের তার ছিড়ে পড়েছে। তারপরই গান্ধী ময়দান থেকে বেরনোর জন্য শুরু হয় হুড়োহুড়ি। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি যে সেসময় কেবল একটি  গেটই খোল ছিল। ফলে সকলে সেখানেই ভিড় করেন। এরপরই শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি। ভিড়ের মধ্যে শিশু ও মহিলারা পড়ে যান। তার উপর দিয়েই আতঙ্কিত মানুষজন বাইরে বেরনোর চেষ্টা করলে পদপিষ্ট হয়ে প্রাণ হারান অনেকে।

আহতদের নিয়ে যাওয়া হয় পাটনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ঘটনাস্থল থেকে হাসপাতালের দূরত্ব বেশ খানিকটা হওয়ায় মাঝপথে মৃত্যু হয় কয়েকজনের।  দুর্ঘটনার পর রাজধানীর সরকারি হাসপাতালগুলিতে জরুরী অবস্থা জারি করা হয়। পাটনা মেডিক্যাল কলেজের সামনে পরিচিতদের খোঁজ নিতে ভিড় জমে যায়। ঠিক মত খবর না পাওয়ায় বাড়তে থাকে উত্‍‍কন্ঠা। এসময় কিছু মানুষ বিক্ষোভও দেখান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিস বাহিনী। আহতদের দেখতে হাসপাতালে যান বিজেপি নেতারা। ঘটনার জন্য তাঁরা রাজ্য সরকারকেই দায়ী করেন।

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মৃতদের পরিবারপিছু দু লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেন তিনি। আহতদের পঞ্চাশ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।

 

.