নিজস্ব প্রতিবেদন: কাশ্মীরের পরিস্থিতি দেখতে গিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী-সহ বিরোধী নেতারা । কিন্তু শ্রীনগর বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠানো হল তাঁদের। দিল্লিতে ফিরে রাহুল মন্তব্য করলেন, এটা স্পষ্ট, জম্মু-কাশ্মীরে স্বাভাবিক পরিস্থিতি নেই।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শনিবার জম্মু-কাশ্মীরের উদ্দেশে রওনা দেয় বিরোধীদের প্রতিনিধি দল। ওই দলে ছিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী, কংগ্রেসের গুলাম নবি আজাদ, আনন্দ শর্মা, সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিআইয়ের ডি রাজা, আরজেডি-র মনোজ ঝা, শরদ যাদব, এনসিপি-র মজিদ মেনন, ডিএমকের তিরুচি সিবা এবং তৃণমূলের দীনেশ ত্রিবেদী। 


দিল্লি বিমানবন্দর থেকে সকালের উড়ানে শ্রীনগরে পৌঁছয় বিরোধীরা। কিন্তু তাঁদের শহরে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়নি। গতকালই প্রশাসন অনুরোধ করেছিল, উপত্যকায় শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে না। আপনারা আসবেন না। রাহুল গান্ধী সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে বলেছিলেন, 'বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্য নেই আমাদের। সরকারের বিরোধিতা করতেও যাচ্ছি না। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে সরকারকে যাতে পরামর্শ দিতে পারি, সে জন্যই যেতে চাইছি।' আরজেডি নেতা মনোজ ঝায়ের প্রশ্ন, 'পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কেন আমাদের আটকানো হচ্ছে?'   



শ্রীনগর বিমানবন্দর থেকে ফিরে আসার আগে প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছে বিরোধীরা। ওই চিঠির বক্তব্য, আমাদের আটকের তীব্র বিরোধিতা করছি। এটা সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক ও অসংবিধানিক। 



দিল্লি বিমানবন্দরে নেমে রাহুল গান্ধী বলেন,'ক'দিন আগে আমাকে আমন্ত্রণ করেছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপাল। ওই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছিলাম। মানুষ কীভাবে আছেন, সেটাই দেখতে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের বিমানবন্দরে বাইরে যেতে দেওয়া হল না। সাংবাদিকদের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করা হয়েছে। এতে স্পষ্ট, জম্মু-কাশ্মীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক নেই।'  গুলাম নবি আজাদের মন্তব্য, সহযাত্রীদের থেকে যা শুনলাম, পাথরেরও কান্না পাবে।   



কাশ্মীরে অনুচ্ছেদ ৩৭০ প্রত্যাহারের পর জারি রয়েছে কারফিউ। এর আগে ওই রাজ্যের কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদকে আটকে দেওয়া হয়েছিল শ্রীনগর বিমান বন্দরে। পরে দলের বিধায়ক ইউসুফ তারিগামিকে দেখতে গিয়ে বাধা পান সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি।


আরও পড়ুন- পাকিস্তানের চেষ্টা জলে, মোদীকে সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান দিলেন আমিরশাহির যুবরাজ