নিজস্ব প্রতিবেদন: রাফাল বিতর্কে ‘চৌকিদার’ মোদীকে ‘চোর’ বললেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। রাহুলের এই মন্তব্যে তীব্র সমালোচনা করল বিজেপি। রাহুলের সাংবাদিক বৈঠকের ঘণ্টা খানেক না পেরোতেই পাল্টা বৈঠক করে একহাত নিলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। তিনি বলেন, “স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে এমন নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেনি। যেখানে এক জন দলের সভাপতি হয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এমন কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন। রাহুল গান্ধীর থেকে কিছুই আশা করা যায় না। যার কোনও ক্ষমতা এবং সামর্থ্য নেই। পরিবারতন্ত্রের ক্ষমতায় এই পদে বসেছেন তিনি।”


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- ‘দেশের চৌকিদার চোর!’ রাফাল নিয়ে মোদীকে কটাক্ষ রাহুলের


রাহুল গান্ধী শনিবার যে অভিযোগ করেছেন, তা সম্পূর্ণ খারিজ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। ফরাসি সংস্থা দ্যাসোর অংশীদার সংস্থা হিসাবে রিলায়্যান্স ডিফেন্স ইন্ডিষ্ট্রিজকে বেছে নেওয়া পিছনে কেন্দ্রের কোনও অভিসন্ধি নেই বলে স্পষ্ট করা হয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে। মন্ত্রকের টুইটার হ্যান্ডেলে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, রিলায়্যান্স ডিফেন্স ইন্ডিষ্ট্রিজকে বেছে নেওয়ার সম্পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে ওই ফরাসি সংস্থার। ফ্রান্সের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ফ্রাসোয়াঁ ওলাঁদের ঘনিষ্ঠ কর্তাদের স্বার্থের প্রশ্ন তুলে ধরেছে সে দেশের সংবাদমধ্যম। পুরো প্রতিবেদন দেখা উচিত ছিল বলে দাবি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের।


আরও পড়ুন- রাফাল বিতর্কে প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের দাবি উড়িয়ে দিল ফরাসি সরকার


রাহুল এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে মূলত প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করেন। তাঁর বক্তব্য, এই চুক্তি সম্পর্কে একমাত্র অবগত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর কথায়, ফ্রান্সের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ওলাঁদের সঙ্গে এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন নরেন্দ্র মোদী-ই। যখন ওলাঁদ তাঁকে ‘মিথ্যে’ বলে প্রমাণিত করছেন, তখন মোদী কেন চুপ রয়েছেন। এ বিষয়ে মোদীর উত্তরের দাবি করেছেন রাহুল। পাশাপাশি, রিলায়্যান্সের ‘অভিজ্ঞতা’ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। ভারতের একমাত্র যুদ্ধ বিমান প্রস্তুতকারী কেন্দ্রীয় সংস্থা হ্যালের পরিবর্তে রাফাল প্রোজেক্টের অংশীদারিত্ব পেল অনিল আম্বানির সংস্থা। রাহুলের দাবি, যে সংস্থা তৈরি হয়েছে রাফাল চুক্তি হওয়ার এক সপ্তাহের আগে। অনিল আম্বানিকে ৩০ হাজার কোটি টাকা পাইয়ে দিতেই কেন্দ্র সুপারিশ করে বলে রাহুলের অভিযোগ। যদিও ফ্রান্সের সরকার জানায়, রাফাল চুক্তি নিয়ে দ্যাসো সংস্থার উপর কোনও চাপ সৃষ্টি করেনি তাদের সরকার। পাশপাশি দ্যাসো অ্যাভিয়েশন সংস্থা প্রেস বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ২০১৬-র ডিফেন্স প্রকিউরমেন্ট প্রসিডিউর (ডিপিপি) নিয়ম এবং মেক ইন ইন্ডিয়া নীতি অনুযায়ী অনিল আম্বানির সংস্থাকে বেছে নেওয়া হয়েছে।