নিজস্ব প্রতিবেদন: ঢাকঢোল পিটিয়ে বুধবারই নিজের সংসদীয় ক্ষেত্রে হাজির হয়েছিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। কংগ্রেসের একটি সূত্র থেকে জানানো হয়েছিল, আমেঠির সাংসদ কার্যত শুরু করে দিলেন লোকসভা নির্বাচনের প্রচার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: বিজেপিতে একটি পরিবার বা ব্যক্তির ইচ্ছায় সিদ্ধান্ত হয় না, প্রিয়ঙ্কার অন্তর্ভূক্তিতে খোঁচা মোদীর


কিন্তু তাঁর প্রচার-পর্ব শুরুতেই ধাক্কা খেল। আমেঠিতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল কংগ্রেস সভাপতিকে। এবার তিনি কৃষকদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন। বিক্ষোভকারীদের সাফ কথা, হয় জমি দেওয়ার ব্যবস্থা করুন রাহুল। না পারলে ইতালি ফিরে যান।


উত্তরপ্রদেশের আমেঠি জেলার একটি শহর গৌরীগঞ্জ। সেখানেই বুধবার কৃষকরা রাহুল গান্ধীর উদ্দেশ্যে বিক্ষোভ দেখান। সংবাদসংস্থাকে এএনআই-কে তাঁরা জানিয়েছেন, রাহুল গান্ধীকে নিয়ে তাঁরা হতাশ। রাহুল তাঁদের জমি দখল করে নিয়েছে। তাই রাহুলের আমেঠিতে আসার কোনও প্রয়োজন নেই। তিনি ইতালিতেই ফিরে গেলে ভালো হয়।


আরও পড়ুন: যোগ্য বলেই কংগ্রেসে পদ পেলেন প্রিয়ঙ্কা, জানালেন সভাপতি রাহুল


প্রসঙ্গত, ক্ষুব্ধ কৃষকরা রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনকে দেওয়া জমি ফেরত চেয়েছেন। তাঁদের দাবি, জমি ফেরত দিতে না পারলে চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে রাহুল গান্ধীকে।


১৯৮০ সালে রাজীব গান্ধী যখন আমেঠির সাংসদ ছিলেন, তখন ওই এলাকায় একটি সাইকেল কারখানা তৈরি হয়। এর জন্য স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে ৬৫.৫৭ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। কিন্তু সেই প্রকল্প মুখ থুবড়ে কয়েক বছরের মধ্যেই।


আরও পড়ুন: নেতাজির মৃত্যুদিন উল্লেখ করে টুইট! বিতর্ক উসকে দিল কংগ্রেস


২০১৪ সালে ওই কারখানার জমির নিলাম হয়। জমিটি নিলামে কিনে নেয় রাজীব গান্ধী চ্যারিটেবল ট্রাস্ট। উত্তরপ্রদেশের শিল্পোন্নয়ন নিগম অবশ্য পরে ওই নিলামকে বাতিল করে দেয়। গৌরীগঞ্জ মহকুমা আদালতের নির্দেশে জমির মালিকানাও শিল্পোন্নয়ন নিগমের হাতে চলে যায়।


কিন্তু সেই জমির দখল এখনও নিতে পারেনি নিগম। তা এখনও রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনের হাতে রয়েছে। সেই জমিই এবার ফেরানোর দাবিতে সরব হয়েছেন কৃষকরা।


আরও পড়ুন: রাহুলের অক্ষমতার জন্যই মহাজোট ছেড়েছি, কংগ্রেস সভাপতিকে আক্রমণ নীতীশের


এই ইস্যুতে আগেই মুখ খুলেছিল বিজেপি। দলের নেত্রী তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি এ নিয়ে আওয়াজ তুলেছিলেন। রাহুল গান্ধী ও কংগ্রেসের বিরুদ্ধে কৃষকদের জমি দখলের অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি।