বিজেপিতে একটি পরিবার বা ব্যক্তির ইচ্ছায় সিদ্ধান্ত হয় না, প্রিয়ঙ্কার অন্তর্ভূক্তিতে খোঁচা মোদীর

কংগ্রেসের মহাসচিব হলেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। 

Updated By: Jan 23, 2019, 06:58 PM IST
বিজেপিতে একটি পরিবার বা ব্যক্তির ইচ্ছায় সিদ্ধান্ত হয় না, প্রিয়ঙ্কার অন্তর্ভূক্তিতে খোঁচা মোদীর

নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রিয়ঙ্কা গান্ধী কংগ্রেসের মহাসচিব হওয়ার পর পরিবারতন্ত্র নিয়ে আরও একবার খোঁচা দিলেন নরেন্দ্র মোদী। দলের কর্মীদের সঙ্গে সংলাপে কংগ্রেসের নাম না নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন,''আমাদের দলে কোনও সিদ্ধান্ত এক পরিবার বা ব্যক্তির ইচ্ছায় হয় না''। নরেন্দ্র মোদীর এহেন বক্তব্য এমন একটা সময় এল, যেদিন কংগ্রেসের মহাসচিব হলেন রাহুল গান্ধীর বোন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। 

এদিন প্রিয়ঙ্কা মহাসচিব নির্বাচিত হওয়ার পর পরিবারতন্ত্রের কটাক্ষ করেন বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত্ পাত্র। তাঁর সুরেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ''বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বলা হয়, পরিবারই দল।কিন্তু বিজেপিতে দলই পরিবার''। মোদীর কথায়,''বিজেপি ক্যাডারদের দল। দলের কর্মীরাই বিজেপি তৈরি করেছেন। গণতন্ত্রের আদর্শ অনুসরণ করা একমাত্র দল বিজেপিই''।

আরও পড়ুন- প্রিয়ঙ্কার অন্তর্ভূক্তি মাস্টারস্ট্রোক নাকি উত্তরপ্রদেশ বিজেপির হাতে তুলে দিলেন রাহুল?

বলে দিই, যাবতীয় জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বুধবার প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর সক্রিয় রাজনীতিতে যোগদানের কথা ঘোষণা করে কংগ্রেস। উত্তর প্রদেশে দলের হার ফেরাতে তাঁকে সেরাজ্যের ভার দেওয়া হয়েছে। পূর্ব উত্তর প্রদেশ কংগ্রেসের মহাসচিব করা হয়েছে প্রিয়ঙ্কাকে। প্রিয়ঙ্কার সক্রিয় রাজনীতিতে যোগদান লোকসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেসের মাস্টার স্ট্রোক বলে দাবি করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞের একাংশ। অপর মহলের দাবি, প্রিয়ঙ্কাকে রাজনীতিতে না এনে আর উপায় ছিল না কংগ্রেসের কাছে। 

এদিন সম্বিত বলেন, 'উত্তর প্রদেশে মহাজোটে ঠাঁই না পেয়ে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গিয়েছে কংগ্রেস। তাই প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর ওপর বাজি ধরেছে তারা। প্রিয়ঙ্কা কংগ্রেসের কাছে অন্ধের লাঠির মতো। নিউ ইন্ডিয়া কংগ্রেসের কাছে প্রশ্ন করছে, প্রথমে নেহেরু, তার পর ইন্দিরা, তার পর রাজীব, সোনিয়া, রাহুল। এখন এলেন প্রিয়ঙ্কা। বিজেপির কাছে পার্টিটাই পরিবার। ওদের কাছে পরিবারটাই পার্টি। এটাই পার্থক্য।' সম্বিত পাত্র এদিন বলেন, 'এখন একটি পরিবারের লোকেরা মিলেই কংগ্রেস চালান।'

 

 

.